ইবি লাইভ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর (সিভিল) সাথে এক ছাত্রীর আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল। এ ঘটনার জেরে প্রকৌশল অফিস ভাঙচুর ও তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়াও অভিযুক্ত প্রকৌশলীর বিচার দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ‘ইবির নিউজ’ নামক একটি ফেসবুক আইডি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলের সাথে ছাত্রীর ফোনালাপ ফাঁস হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিচার চেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রকৌশল ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
পরে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান প্রকৌশলীকে অবরুদ্ধ করে তার রুম ভাঙচুর করেন। এছাড়াও প্রকৌশলী অফিসে তালা দেন তারা। একই দাবিতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ওই কর্মকর্তার বিচার চেয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
এদিকে ভাইরাল হওয়া ওই অডিও ক্লিপে প্রকৌশলী ছাত্রীকে চাকরির প্রলোভন দে। এসময় তাকে খুশি করার মতো ছবি চাওয়াসহ বিভিন্ন কথোপকথনের উল্লেখ ছিল।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলের সাথে ছাত্রীর অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের জন্য বিব্রতকর। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বিনষ্ট হয়েছে। নৈতিক স্খলনে অভিযুক্ত ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় চাকরি করার যোগ্যতা রাখে না। তাই টুটুলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।
ছাত্রীর সাথে ইবি প্রকৌশলীর আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস, তোলপাড়
এ বিষয়ে প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলের সঙ্গে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মো. তারেক জানান, শিক্ষার্থীরা আমার রুমে এসে দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তার বিচার দাবি করে। কথা বলার একপর্যায়ে তারা আমার রুমের আলমারির কাচ ভাঙচুর করে বেরিয়ে যায়। এছাড়াও অফিসের নিচে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। ফলে আমি অবরুদ্ধ হয়ে যাই। বিষয়টি আমি উপাচার্য ও পুলিশকে তাৎক্ষণিক অবহিত করি।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, পুরো ঘটনার বিবরণসহ প্রকৌশল অফিসকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা কেন প্রধান প্রকৌশলীর রুমে ভাঙচুর করেছে তা বুঝিনি। আমরা সব বিষয়ে তদন্ত করবো। তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা, ১৯ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: