নোয়াখালী লাইভ: সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে প্রাণ হারালেন এক কলেজছাত্র। তাকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত কলেজ শিক্ষার্থীর নাম কামরুল হাসান প্রকাশ জোবায়ের (১৮)। তিনি নোয়াখালী আইডিয়াল পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সিভিল বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
নিহত কামরুল বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের আলাদিন নগর গ্রামের কাজী বাড়ির কামাল উদ্দিনের ছেলে। তারা নোয়াখালী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রপুর মহল্লার শাহাজাহানের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
মসঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকালে সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে জেলা শহরের মাইজদী বাজার আনসার ক্যাম্প সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সোমবার সকালে সিনিয়র-জুনিয়র ইস্যুতে রাকিব নামে এক কিশোরকে থাপ্পড় দেয় কামরুল। পরে তারই জের ধরে রাকিব, তার আরও দুই ভাই আহাদ ও পিয়াসসহ কিছু বখাটে মিলে কামরুলকে মারধর করার জন্য পাহারা দিতে থাকে। এই খবর পাওয়ায় যোবায়ের বাসা থেকে বের হচ্ছিল না। রাতে হঠাৎ করেই লাদেন নামে কামরুলের বন্ধু তাকে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নেয়।
বন্ধুর ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয় কামরুল। এরই কিছুক্ষণ পর নোয়াখালী শিশু পরিবার সংলগ্ন এলাকায় রাকিব, আহাদ ও পিয়াসসহ আরও ১০ থেকে ১৫ জন কামরুলকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে তাকে ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য, কুমিল্লা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা কামাল উদ্দিন কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমার ছেলে মেধাবী ছিল। যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।
এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্ত রাকিবসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছি। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা, ১১ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: