Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ১২ই মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

স্মার্ট কার্ডে যেসব সুবিধা থাকছে, যেভাবে পাওয়া যাবে

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবার ২০১৬, ১৬:৫৩

smart

আইটি লাইভ : প্রচলিত জাতীয় পরিচয়পত্রের বদলে এবার স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। প্লাস্টিকের তৈরি ওই কার্ডের মেয়াদ হবে ১০ বছর। রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এই স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন।

চলুন জেনে নেয়া যাক ওই স্মার্ট কার্ড থাকলে কি কি উপকার হয়।

২২ ধরনের সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র কাজে লাগবে। আয়করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর পাওয়া, শেয়ার আবেদন ও বিও হিসাব খোলা, ড্রাইভিং লাইসেন্স করা ও নবায়ন, ট্রেড লাইসেন্স করা, পাসপোর্ট করা ও নবায়ন, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, চাকরির আবেদন, বিমা স্কিমে অংশগ্রহণ, স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, নির্বাচনে ভোটার শনাক্তকরণ, ব্যাংকঋণ, গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের সংযোগ, সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন, টেলিফোন ও মোবাইলের সংযোগ, সরকারি ভর্তুকি, সাহায্য ও সহায়তা, ই-টিকেটিং, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, আসামি ও অপরাধী শনাক্তকরণ, বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর পাওয়া ও সিকিউরড ওয়েব লগে ইন করার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর লাগবে। তবে আইনগতভাবে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়ের নম্বর এখনো বাধ্যতামূলক করা হয়নি।

এবারের স্মার্ট কার্ডে ব্যক্তির নাম (বাংলা ও ইংরেজি), মা-বাবার নাম, জন্মতারিখ ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন নম্বর দৃশ্যমান থাকছে। কার্ডের পেছনে থাকছে ব্যক্তির ভোটার এলাকার ঠিকানা, রক্তের গ্রুপ ও জন্মস্থান। তবে সব মিলিয়ে স্মার্ট কার্ডের মধ্যে থাকা চিপ বা তথ্যভান্ডারে ৩২ ধরনের তথ্য থাকছে, যা মেশিনে পাঠযোগ্য হবে।

স্মার্ট কার্ডের সঙ্গে কাগজের তৈরি লেমিনেট করা বিদ্যমান কার্ডের বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। প্লাস্টিকের (পলিমার দিয়ে) তৈরি কার্ডটি মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে। কার্ডের মেয়াদ হবে ১০ বছর। নারীদের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কার্ডে স্বামীর নাম দৃশ্যমান ছিল। বাবার নাম ছিল না। অন্যদিকে পুরুষের কার্ডে স্ত্রীর নাম উল্লেখ ছিল না। একে বৈষম্যমূলক বলে বলা হচ্ছিল। এবার নারীদের স্মার্ট কার্ডে স্বামীর নাম দৃশ্যমান থাকবে না। সেখানে বাবার নাম থাকবে।

যেভাবে পাওয়া যাবে স্মার্ট কার্ড : নাগরিকদের মধ্যে উন্নত মানের জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) বিতরণের কাজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকার উত্তরা ও রমনা থানায় এবং কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়াতে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে ঢাকা উত্তর সিটির ১ নম্বর ওয়ার্ড (উত্তরা) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের (রমনা থানা) ভোটারদের মধ্যে ৩ থেকে ২৬ অক্টোবরের ভেতর স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। যেকোনো ব্যক্তি ১০৫ নম্বরে ফোন করে তার স্মার্ট কার্ড বিতরণসংক্রান্ত তথ্য জানতে পারবেন।

ইসি সূত্র জানায়, প্রচলিত ল্যামিনেটিংয়ের তৈরি পুরনো পরিচয়পত্র ফিরিয়ে নিয়ে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব নাগরিকের হাতে স্মার্টকার্ড বিতরণের লক্ষ্য ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন।

প্রথম পর্যায়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও কুড়িগ্রাম; দ্বিতীয় পর্যায়ে খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন; তৃতীয় পর্যায়ে ৬৪টি সদর উপজেলা এবং চতুর্থ পর্যায়ে বাকি সব উপজেলায় দেশজুড়ে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে।

সূত্র জানায়, প্রতিটি সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কার্ড বিতরণের জন্য ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।

সংশ্লিষ্ট এলাকার নাগরিকদের আগে থেকেই মাইকিং বা মোবাইল এসএমএস, প্রচারপত্র, ব্যানার-পেস্টুনসহ বিভিন্নি মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া কার্ড বিতরণের স্থান ও দিনক্ষণ।

নির্ধারিত দিনে নাগরিকেরা ক্যাম্পে এসে, আঙুলের ছাপ দেবেন, চোখের মনির ছবি তুলবেন এবং পুরনো কার্ড জমা দেবেন।

পরিবর্তে সঙ্গে সঙ্গেই তার হাতে তুলে দেয়া হবে নতুন স্মার্ট আইডি কার্ড।

ইসি সূত্র আরও জানায়, যাদের প্রচলিত লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা নির্ধারিত স্লিপ দিয়ে এনআইডি নম্বর জেনে বিতরণ কেন্দ্রে গেলেই স্মার্টকার্ড দেয়া হবে।

ঢাকা, ০৭ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ