শফিকুল ইসলামঃ তথ্য প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে এবং মানুষ প্রযুক্তির কল্যাণে অসংখ্য সুবিধা পাচ্ছে এতে সন্দেহ নেই।আর ব্যবহারকারীর দৃষ্টিভঙ্গির উপর এর কল্যাণ বা অকল্যাণ নির্ভর করে এটাও প্রমাণিত। স্মার্টফোন এমন একটা প্রযুক্তি যার ব্যবহারকারী দিন দিন বেড়েই চলছে। স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে হাতের মুঠোয় পুরো পৃথিবী।
কিন্তু এই স্মার্টফোন সার্বক্ষনিক ব্যবহারের ফলে শরীর ও মনের যে বিভিন্ন ক্ষতি হচ্ছে সেটা আজ দৃশ্যমান। আপনি সার্ভেন্ট হয়ে মোবাইলের নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত। রিংটোন বাজলে ব্যস্ত, ফেসবুকের নোটিফিকেশন দেখতে ব্যস্ত,স্টাটাসে কে কি কমেন্ট পড়লো দেখতে ব্যস্ত, বড়দের সাথে কথা বলছেন সেখানে স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে ব্যস্ত, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও ফোনে ব্যস্ত, ঘুম থেকে উঠেও স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত।
এত্তসব ব্যস্ততা মানে হলো আমরা স্মার্টফোনের সার্ভেন্ট, মাস্টার নয়। স্মার্টফোন আমার প্রয়োজন হলে কাজ করে দিবে,আমার দরকার হলে ব্যবহৃত হবে,অপ্রয়োজনে সেটি চুপচাপ বসে থাকবে, তখন বলা যাবে আমি স্মার্টফোনের বস। বিলগেটস তার সন্তানকে ১৪ বছর হওয়ার আগে ফোন দেই নাই।আর আমাদের দেশের শিশুদের শখ করে ফোন কিনে দিচ্ছে অভিভাবক। অতি আদরের শিশু ফোন নিয়ে গেইম খেলে,ধীরে ধীরে সোশাল মিডিয়ায় পদচারণ করে। ভার্চ্যুয়াল জগত নিয়ে খুব ব্যস্ত অথচ বাস্তব সমাজের সাথে সে খাপছাড়া। খাবার টেবিলে বসেও বড়রা ফোন ব্যবহার করে,শিশুরা করে এমনকি গৃহিনী রান্না করে তখনই স্মার্টফোনে ব্যস্ত।
বহুদিন পরে দেখা করে বন্ধুরা একসাথে আড্ডা দিতে বসে পারস্পরিক কোন কথা বলে না, অথচ স্মার্টফোনে সবাই ব্যস্ত ভার্চ্যুয়াল বন্ধুদের নিয়ে। ঘুম নাই,ঘুম আসেনা। সমাধানের পথ না ধরে উল্টো স্মার্টফোনে ব্যস্ত অসংখ্য মানুষ। যাহোক স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা যেভাবে রেডিয়েশন ছড়াচ্ছে গর্ভবতীর পেটের শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত সববয়সীর জন্য এখন অভিশাপ হতেই পারে। সুতরাং বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগেই অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করি।
ঢাকা, ০১ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//আরএইছ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: