আইটি লাইভ: ২০১৮-১৯ সালের প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূল্য প্রায় ১১ শতাংশ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির নেতারা। কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের দাম বৃদ্ধি পেলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি অনেকাংশে থমকে যাবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে কম্পিউটারের উৎপাদন, আমদানি ও বিপণন পর্যায়ে অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট (এটিভি) প্রত্যাহার করতে দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। রাজধানীর বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কম্পিউটার পণ্যে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি তুলে ধরেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য আইসিটি প্রতিষ্ঠানগুলোর বাড়িভাড়ার ওপর ১৫ শতাংশ মূসক মওকুফ করা হোক। কেননা, এ খাতে উদ্যোক্তারা অত্যন্ত স্বল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। বাড়িভাড়ার ওপর এই মূসক ধার্য ব্যবসাবান্ধব নয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিসিএসের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী শামীম, মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন, কোষাধ্যক্ষ মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, পরিচালক মো. আছাব উল্লাহ খান জুয়েল।
নেতারা জানান, বিসিএস-এর সংশোধনী প্রস্তাবগুলো হলো, ব্যবসায়ী পর্যায়ে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূসক (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতি বহাল রাখা। নতুন করে আরোপিত কম্পিউটার পণ্যের ওপর এটিভি প্রত্যাহার করা এবং তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার সংজ্ঞায় হার্ডওয়্যারকেও অন্তর্ভুক্তিতকরণ।
ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার জানান, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি যথাযথ গুরুত্ব ও আগ্রহের সঙ্গে পর্যালোচনা করেছে। এতে কিছু সংশোধনী আনার জন্য অর্থমন্ত্রী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
কম্পিউটার পণ্যে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবির উপর যুক্তি উপস্থাপন করে তিনি বলেন, বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার সংজ্ঞায় সফটওয়্যার এবং তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কিছু সেবা অন্তর্ভুক্ত আছে। কিন্তু কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, সংযোজন ও সেবা প্রদানকারী বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত নেই। অথচ এই অংশগুলো ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির কোনো কার্যক্রম ও প্রবাহ কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
তাই বিসিএস-এর পক্ষ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার সংজ্ঞায় সফটওয়্যার এবং অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি সেবার পাশাপাশি হার্ডওয়্যার অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সুব্রত সরকার আরও বলেন, কম্পিউটারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ইউপিএস/আইপিএস অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। তাই আমরা এই পণ্যের শুল্কহার আগের অবস্থায় ১০ শতাংশ রাখার প্রস্তাব দিচ্ছি।
ঢাকা, ২৫ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: