আইটি লাইভ: বাংলাদেশের মহাকাশ যাত্রার প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কার্যক্রম শেষে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ শুরুর ঠিক ৪২ সেকেন্ড আগে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৪৭ মিনিটে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড-৩৯ এ থেকে কক্ষপথে উড়াল দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও প্রাথমিক কাজ শুরুর পর কারিগরি ত্রুটির কারণে তা বাতিল করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ অনুসন্ধান কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’ এর তথ্য মতে জানা যায় যে, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট এর সাথে গ্রাউন্ড স্টেশনের কানেক্টিভিটি সিস্টেমের ত্রুটি জনিত কারনে উৎক্ষেপণের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণ কম্পিউটার দ্বারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত। উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়ার মাত্র ৪২ সেকেন্ড আগে গ্রাউন্ড সিস্টেমে সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে উৎক্ষেপণের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। তবে স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ ও ফ্যালকন-৯ রকেটি ঠিক আছে বলে জানান স্পেসএক্স কম্পানির কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ দেখার অপেক্ষায় ছিল আজ পুরো দেশ ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আবারও একদিনের জন্য থমকে গেল মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সকল কার্যক্রম পুরোপুরি কম্পিউটারে নিয়ন্ত্রিত। এসময় যদি স্যাটেলাইটের কোনো অংশ স্বাভাবিক নয় বলে কম্পিউটার খুঁজে পায়, তাহলে উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়। তবে ঝুঁকি নিতে না চাইলে রকেট উৎক্ষেপণ একেবারেই স্বাভাবিক একটি ঘটনা।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা যায়, উৎক্ষেপণের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর এক মিনিটেরও কম সময় আগে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর কাউন্টডাউন স্থগিত করা হয়। এছাড়া স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ ব্লক ফাইভ রকেটের মহাকাশে প্রথম যাত্রার কাউন্টডাউন পুনরায় শুরু অথবা অন্যদিনের জন্য উৎক্ষেপণ বাতিল করবে কি না তা এখনো পরিষ্কার নয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, ‘উৎক্ষেপণের শেষ মুহূর্তগুলো কম্পিউটার দ্বারা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। হিসেবে যদি একটুও এদিক সেদিক পাওয়া যায়, তাহলে কম্পিউটার উৎক্ষেপণ থেকে বিরত থাকে।’
উল্লেখ্য, স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ মহাকাশে পাঠানোর লক্ষ্যে রাশিয়ার উপগ্রহ কোম্পানি ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল স্লট) কেনে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি রাশিয়ার কাছ থেকে মহাকাশের ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমায় দুই কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারে (বাংলাদেশি প্রায় ২১৯ কোটি টাকায়) কেনা হয়েছে এ স্লট।
ঢাকা, ১১ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: