আইটি লাইভ: ভূমি সংশ্লিষ্ট সেবাদাতাদের চিরিরবন্দরের সরকারি সম্পত্তি (খাস, ভিপি, এপি ও সংস্থা) সনাক্তকরণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও দাপ্তরিক কাজের সুবিধায় এবং সাধারণ নাগরিকের জমি ক্রয়-বিক্রয় বা তথ্য সংগ্রহে অযথা হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রিতা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে মোবাইল অ্যাপস উদ্বোধন করা হয়েছে।
উপজেলা ভূমি অফিসের উদ্যোগে সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড নির্ভর “চিরিরবন্দরের সরকারি সম্পত্তি” শীর্ষক অফলাইন অ্যাপটি উদ্বোধন করেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম।
দিনাজপুর চিরিরবন্দর সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব মোঃ মাশফাকুর রহমানের পরিকল্পনা অ্যাপটি বাস্তবায়নে করেছে কোডেক্স সফটওয়ার সলিউশন লিমিটেড। গুগল প্লে-স্টোরে ‘চিরিরবন্দরের সরকারি সম্পত্তি’ লিখে সার্চ দিলেই অ্যাপটি পাওয়া যাবে।
এছাড়া এই goo.gl/AtgCB4 লিংকে এবং দিনাজপুর জেলা পোর্টালে (dinajpur.gov.bd) পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে উদ্যোক্তারা বলছেন, দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলায় সরকারী স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক সম্পত্তি রয়েছে। লক্ষ্য করা গেছে, বিভিন্ন সময়ে অবৈধ দখলদারেরা মিথ্যা ও বানোয়াট দলিল ও পর্চা তৈরি করে নামজারির মাধ্যমে খাস জমি হাতিয়ে নেয়ার অপতৎপরতা চালিয়েছে।
এছাড়াও এসএ রেকর্ডে সরকারের নামে কিন্তু আরএস রেকর্ডে ভুলবশত ব্যক্তি মালিকানায় কিছু খাস জমি রেকর্ডভুক্ত হওয়ায় এসকল জমি আরএস রেকর্ডধারীগণ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল কিংবা দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের করে হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত। ভূমি রেজিস্টেশন, সেটেলম্যান্ট, নামজারী বা অন্যান্য ক্ষেত্রে সরকারের স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না সেটি সঠিক ভাবে যাচাই করা হয়নি বলে এটা সম্ভব হয়েছে।
এছাড়া "খাস, ভিপি, এপি ও সংস্থা" সব জমির ক্ষেত্রে এরূপ অপতৎপরতা পরিলক্ষিত হয়। এসকল ক্ষেত্রে নামজারির সময় এবং মামলার এস.এফ এর জবাব প্রস্তুতকালে সরকারি স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কর্তৃক আর.এস রেকর্ডের পাশাপাশি এস.এ রেকর্ড পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করা বাঞ্ছনীয়।
কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরনো এসএ রেকর্ড জীর্ণ, পাতা ছেঁড়া, অস্পষ্ট বা দোবারা হওয়ার ফলে উক্ত যাচাই কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে সঠিকভাবে নামজারির প্রস্তাব কিংবা জবাব প্রেরণে ব্যর্থতার দরুন সরকারি স্বার্থ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
অপরদিকে ক্রেতা সাধারণ সঠিকভাবে এসএ ও আরএস রেকর্ড যাচাই না করে জমি ক্রয়ের পর তা নামজারি সম্পাদনে কিংবা বিক্রয়ে ব্যর্থ হন। এমনকি এ ধরনের সমস্যা সমাধানে অসাধু ব্যক্তি/দালালের আশ্রয় গ্রহণের ফলে প্রতারিত ও হয়রানির শিকার হন।
এ প্রেক্ষিতে, সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি অবৈধভাবে যেন বেহাত না হয় সেই বিবেচনায় (খাস, অর্পিত, পরিত্যক্ত, সংস্থার সম্পত্তি) এর ডাটাবেজ প্রস্তুত করে মোবাইল অ্যাপসটি তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপসের মাধ্যমে সাব-রেজিস্টার অফিস, সেটেলম্যান্ট অফিস র্কতৃপক্ষ উপকৃত হবে বলে আশা করছে উদ্যোক্তারা।
এছাড়াও তাদের বিশ্বাস কার্যক্রমটি বাস্তবায়িত হলে দ্রুত কাজ সম্পাদনসহ প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সরকারি স্বার্থসংশ্লিষ্ট সম্পত্তি রক্ষার্থে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা, ২৪, নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)// আইএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: