আইটি লাইভ: স্পেস এক্সের নতুন রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। ইলোন মাস্কের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানোর। বিশ্বখ্যাত ধনকুবের ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস কোর মঙ্গলবার বিকেলে রকেট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে তিনি স্বপ্নের পথে আরো কিছুদূর অগ্রসর হতে পারলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় পৌনে ৪টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেস এক্স তাদের ফ্যালকন হেভি রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়। এই রকেটের ভেতরে দেওয়া হয় একটি ইলেকট্রিক কার। খবর হাফিংটন পোস্ট।
ফ্যালকন হেভি রকেট তৈরি করা হয়েছে তিনটি আলাদা ফ্যালকন ৯ রকেটের সমন্বয়ে। পুরো রকেটে আছে ২৭টি ইঞ্জিন। পৃথিবীর কক্ষপথে এক লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড ওজন বয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে এই রকেট।
স্পেস এক্সের এ রকেটের ভেতরে রয়েছে ইলোন মাস্কের অন্য কোম্পানি টেসলার তৈরি একটি ইলেক্ট্রিক কার। খুব চকচকে লাল এই কনভার্টিবল গাড়ির চালকের আসনে বসানো আছে মানবাকৃতির একটি ডামি। রকেট উৎক্ষেপণের ছয় ঘণ্টা পর এই গাড়িটি মহাশূন্যে ছেড়ে দেওয়ার কথা।
পরিকল্পনা অনুযায়ী এই গাড়ি পৃথিবী থেকে ২৫০ মিলিয়ন মাইল দূর থেকে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে এবং কোন এক সময়ে মঙ্গল গ্রহে আছড়ে পড়তে পারে, গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানান ইলোন মাস্ক।
সফলভাবে উৎক্ষেপণের পর এর তিনটি বুস্টার রকেটের দুইটি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয় স্পেস এক্স। বুস্টার রকেট হলো সেই রকেট যা মহাকাশযানকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে। পরে বুস্টার রকেট মহাকাশযান থেকে আলাদা হয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে। পুন:ব্যবহারযোগ্য বুস্টার রকেট মহাকাশযাত্রার খরচ কমিয়ে আনবে বলে অনেকদিন ধরেই এমন রকেট তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল স্পেস এক্স।
২০১৬ সালে ইলোন মাস্ক ঘোষণা দেন, তিনি মানুষকে ‘মাল্টি-প্ল্যানেট স্পিশিজ’ হিসেবে দেখতে চান। অর্থাৎ মানুষ হবে এমন এক প্রাণী প্রজাতি যে কিনা একাধিক গ্রহে বাস করবে। তিনি ভবিষ্যতে বিশাল এক মহাকাশযান তৈরির স্বপ্ন দেখেন, যাতে একশ মানুষ এবং তাদের প্রয়োজনীয় সব মালামালের জায়গা হবে। এই মহাকাশযান মঙ্গল ও পৃথিবীর মাঝে যাতায়াত করতে পারবে সহজে।
ঢাকা, ০৯ ফেব্রুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: