এমসি লাইভ: দীর্ঘ ৫৫ বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে সিলেটে সরকারী কলেজে চালু হচ্ছে চার বছর মেয়াদী স্নাতক(সম্মান) কোর্স।
আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজগুলোতে ২০১৭-১৮ সেশনের স্নাতক(সম্মান) কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়ায় সিলেট সরকারী কলেজে এ সেশনের শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন সিলেট সরকারী কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক আতাউর রহমান।
১৯৬৪ সালে প্রতিষ্টা হওয়া বর্তমান সিলেট সরকারী কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন নাম ছিলো 'মুরারিচাঁদ(এমসি) ইন্টামিডিয়েট কলেজ'।
পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে এর নাম পরিবর্তন করে 'সিলেট সরকারী কলেজ' করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। প্রতিষ্টা পাওয়ার পর থেকে এইচএসসি'র পাশাপাশি ৩ বছর মেয়াদী বিএ, বিএসএস ও বিবিএ ডিগ্রী কোর্সে পাঠদান চলছিলো।
তবে দেরীতে হলেও সিলেটের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারী কলেজে চার বছর মেয়াদী কোর্স চালু হওয়াকে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলছেন শিক্ষাবিদরা।
২০১৭-১৮ সেশনের স্নাতক(সম্মান) শ্রেণীতে পাঁচটি বিভাগের পাঠদানের অনুমতি পেয়েছে সিলেট সরকারী কলেজ, চালু হওয়া স্নাতক(সম্মান) কোর্সের পাঁচটি বিষয় হচ্ছে ব্যবস্থাপনা, হিসাববিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি ও বাংলা। তবে দুই-একদিনের মধ্যে মন্ত্রনালয় থেকে বিষয়গুলোতে কতজন শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে তা জানা যাবে বলে জানিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক আতাউর রহমান।
সিলেট সরকারী কলেজে ব্যবস্থাপনা ও হিসাববিজ্ঞান বিষয় থাকাকে ব্যবসায় শিক্ষায় শাখার শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার নতুন দ্বারপ্রান্ত উন্মোচন হয়েছে যা সিলেটের শিক্ষাঙ্গনে নতুন ক্ষেত্র তৈরী করেছে বলে মনে করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সচেতন মহল।
অনার্স কোর্স চালুর পর কলেজ কর্তৃপক্ষ জনবল সংকটে পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কলেজে ক্লাসের কোনো সংকট নেই। আর কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপাল পদ, দশটি অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, দশটি লেকচারার ও ৪টি তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর পদসহ মোট পঁচিশটি পদ সৃষ্টির কাজ বর্তমানে মন্ত্রনালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে এবং এটার কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। তবে আপাতত স্নাতক(সম্মান) প্রত্যেকটি বিভাগে সাতজন করে শিক্ষক দেয়া হবে সংযুক্তি, খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে।
পাঁচটি বিষয়ের অনার্স চালুর পর পাঠদানে শ্রেণী কক্ষের কোনো সংকট হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্রেণীকক্ষ রয়েছে, কলেজ ক্যাম্পাসে দশ তলা ভবন নির্মাণের বিষয়টি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে(একনেক) অনুমোদন হয়েছে। শীঘ্রই শিক্ষামন্ত্রী এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য আসবেন বলে জানান তিনি।
গত বছরের মার্চ মাসে সরকারী কলেজের প্রিন্সিপালের দায়িত্ব নেয়া প্রফেসর আতাউর রহমান বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সমন্বিত প্রচেষ্ঠায় আমরা সর্ব্বোচ্চ অভিভাবকের নজরে বিষয়টি আনতে সক্ষম হয়েছি যার ফলে এ কলেজে ২০১৭-১৮ সেশন থেকে স্নাতক(সম্মান) কোর্স চালু হয়েছে।
অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে উজ্জীবিত এ ক্যাম্পাসে বিরাট উৎসাহ জেগেছে উল্ল্যেখ করে তিনি কলেজের শিক্ষার পরিবেশ ও মানোন্নয়নে সুশীল সমাজ, সাংবাদিক সমাজের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেন।
ঢাকা, ২৩ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: