Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

শাবিতে প্রকল্পের মেয়াদোত্তীর্ণ, শুরু হয়নি কাজ

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বার ২০২২, ০২:৫৯

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

লাইভ প্রতিনিধি: অধিকতর উন্নয়নের জন্য দুই ধাপে 'অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প-১' এবং 'প্রকল্প-২' এর অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) এই দুই উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় অতিরিক্ত সময়ে এখন চলছে প্রথম প্রকল্পের কাজ।

চলতি বছরের জুনে ২য় প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা শেষ হলেও প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত অবকাঠামোর কোনো কাজই এখনো দৃশ্যমান হয়নি। এ দুই প্রকল্পের চারটি হল নির্মাণ না হওয়ায় আবাসন সংকটে রয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বাইরে ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ সময় কিছুই করা সম্ভব হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৯৮৬ সালে। তারপর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯১ সালে। দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও অবকাঠামোর দিক দিয়ে সংকট শব্দটা যেন এর নিত্যসঙ্গী।

অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ছিল ১০ তলাবিশিষ্ট ১টি ছাত্রী এবং ১টি ছাত্র হল, গ্র্যাজুয়েট ও বিদেশি ছাত্রদের জন্য ৭ তলাবিশিষ্ট ১টি হোস্টেল, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য ১১ তলাবিশিষ্ট ৪টি আবাসিক ভবন, কর্মচারীদের জন্য ১০ তলাবিশিষ্ট ১টি আবাসিক ভবন, ১০ তলাবিশিষ্ট ১টি প্রশাসনিক ভবন, বিভিন্ন অনুষদের বিভাগের জন্য ১০ তলাবিশিষ্ট ৪টি একাডেমিক ভবন, গবেষণার জন্য ১টি কেন্দ্রীয় ওয়ার্কশপ, শাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের জন্য ৬ তলাবিশিষ্ট ১টি ভবন, ১০ তলাবিশিষ্ট ১টি ক্লাব কমপ্লেক্স ভবন, ৪ তলাবিশিষ্ট ১টি মসজিদ, কেন্দ্রীয় গ্যারেজ বর্ধিতকরণ, প্রধান সড়কের উভয় পাশের ১৫ মিটার স্প্যানের দুটি ব্রিজ এবং বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন নির্মাণ করার কথা। এদিকে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল চলতি বছরের গত জুন পর্যন্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত ১ শতাংশ কাজও বাস্তবায়ন হয়নি।

প্রকল্প-২ এর পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ হাবিবুর রহমান বলেন, 'করোনার কারণে দীর্ঘ সময় কোনো কিছু করা সম্ভব হয়নি। এখন আমাদের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। আমরা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তিন বছর মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছি। এদিকে মাঠ পর্যায়ের মাটি পরীক্ষা শেষ। এখন ল্যাব-টেস্ট চলছে। এ ছাড়াও বিল্ডিংয়ের ড্রয়িং-ডিজাইন এবং প্রাক্কলন কাজ চললে অচিরেই আমরা দর-বিজ্ঞপ্তি আহ্বান করব।

কতৃপক্ষ জানায়, প্রকল্প-১ বাস্তবায়ন কাজ বর্ধিত সময়ে চলছে। এ প্রকল্পের বর্ধিত মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের আওতায় সৈয়দ মুজতবা আলী হল বর্ধিতকরণ ও সীমানা প্রাচীরের কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়াও ৪ তলাবিশিষ্ট সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের ২য় ব্লক, ৪ তলাবিশিষ্ট একটি ছাত্রী হল, ৫ তলাবিশিষ্ট সেন্টার অব এক্সিলেন্স ভবন শেষ পর্যায়ে আছে।

প্রকল্প-১ এর পরিচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক একেএম ফেরদৌস বলেন, আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে। আমাদের দুটি প্রকল্প শেষ হলে আর কোনো সংকট থাকবে না।

এদিকে, ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনের ৪ তলা থেকে ১০ তলায় বর্ধিতকরণ, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য ৪ তলাবিশিষ্ট আবাসিক ভবন, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওয়ার্কশপ নির্মাণ এবং পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভির আওতায় আনার কাজ চলছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত বরাদ্দ ও বাস্তবায়ন নিয়ে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের যা বরাদ্দ আছে আমরা সেটা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করব। অবকাঠামো নির্মাণের জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, এতে পরবর্তী সময়ে বাজেট বৃদ্ধির প্রয়োজন হলে আমরা সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করব।

ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ