সিলেট ব্যুরো : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চা জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য কোটা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই বিশেষ কোটায় ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে চা জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। তাদের জন্য ৪ টি আসন সংরক্ষণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই চার আসনে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে উপবৃত্তিরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সাক্ষাত করতে গেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাবি ভিসি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এময় ভিসি চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করার বিকল্প নেই।
শাবি ভিসির সাথে সাক্ষাতকালে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান আফম জাকারিয়া, দৈনিক আমাদের সময়ের সিলেট ব্যুরো প্রধান সজল ছত্রী, বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, কারিতাস সিলেটের আলো ঘর প্রকল্পের ব্যবস্থাপক পিউস নানোয়ার, জয় বাংলা ইয়ুথ এওয়ার্ডপ্রাপ্ত সামাজিক সংগঠন স্বপ্নকুঁড়ি সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিজয় রুদ্র পাল, বাংলাদেশ চা জনগোষ্ঠী ছাত্র-যুব কল্যাণ পরিষদের সভাপতি দিলিপ রঞ্জন কুর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয় চা ছাত্র সংসদের সভাপতি রাজু কুর্মী।
শাবি ভিসি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, চায়ের দেশ সিলেটের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হচ্ছে চা শ্রমিক। তাদের সন্তানরা সুযোগের অভাবে উচ্চশিক্ষা থেকেও বঞ্চিত। সিলেট তথা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও সুনাম বৃদ্ধিতে দেড় শতাধিক বছর থেকে যারা অবদান রেখে চলেছেন সেই চা জনগোষ্ঠীর সন্তানদের অধিকার আছে সিলেটের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণের। এসব দিক বিবেচনায় রেখেই শাবি এই উদ্যোগ নিয়েছে।
ঢাকা, ০৫ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: