Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ১৩ই মে ২০২৪, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

সফলতার মন্ত্র : বিশ্ববিদ্যালয় জীবন হোক পরিকল্পিত, পর্ব-১

প্রকাশিত: ১৭ আগষ্ট ২০১৭, ১৮:০৬

রেজাউল হক নাঈম : সবগুলো পাবলিক পরীক্ষায় ভালো গ্রেড পেয়ে প্রতিবছর অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী নিজের মনমতো ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো বিষয়ে ভর্তি হতে পারে না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সফলতার উপর ভিত্তি করে ছাত্রছাত্রীরা এমন একটি বিষয়ে ভর্তি হয়, যার প্রতি হয়তো অতীতে কখনোই কোন আগ্রহ ছিল না।

ভর্তি হওয়ার পর থেকেই অনেকে ওই বিষয়ের উপর ভিত্তি করেই জীবনকে নতুন আকৃতি দান করার চেষ্টা করেন।
অনেকে ওই চেষ্টায় সফল হন, আবার অনেকে শুরুতেই ঝরে যান। অনেকে আবার শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে না।

কোনমতে অনার্স শেষ করেই শুরু হয় নতুন আরেকটা যুদ্ধ। সেটা হল চাকরির যুদ্ধ। বিষয়ভিত্তিক চাকরির সুযোগ আমাদের দেশে খুবই কম। তাই, অনেকেই বিষয়ভিত্তিক চাকরি করার সুযোগ পান না। পদার্থ, রসায়নের মতো রাজকীয় বিষয়ে পড়েও অনেককে হরহামেশা ব্যাংকে জব করতে দেখা যায়। প্রতিবছর যে হারে গ্র্যাজুয়েটের সংখ্যা বাড়ছে সে হারে মনমতো চাকরির সংখ্যা বাড়ছে না।
বর্তমান সময়ে দেশে শিক্ষিত বেকারের হার দেশের সামগ্রিক বেকারত্বের হারের চেয়ে তিনগুণ বেশি।

এটা বর্তমান সময়ের শিক্ষিত তরুণ সমাজের জন্য হতাশাজনক। ঠিক কতভাগ ছাত্রছাত্রী নিজের মনমতো সরকারি চাকরির সুযোগ পান তা নিশ্চয়ই সকলের জানা।

জীবনে সফলতা অনেকটা আপেক্ষিক ব্যাপার। কেউ ভালো একটা চাকরি পাওয়াকে সফলতা মনে করেন, আবার কেউ কোনমতে বেঁচে থাকাকেই সফলতা মনে করেন। কেউ আবার রাজনৈতিক মহানায়ক বা সরকারি র্কমর্কতা হয়ে দেশসেবাকে সফলতা ভাবেন। আবার কেউ কেউ নিত্য নতুন আবিষ্কারেই সফলতা খুঁজে পান।

অনেকে অনেকভাবে সফল হওয়ার ছক কষেন, কিন্তু এসব সফলতা নিয়ে ভাবার জন্য মোট ছাত্রছাত্রীর একটি বৃহৎ অংশ একটুও সময় ব্যয় করে না।

ছাত্রজীবনে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে গেলে শত জাতীয় সমস্যার মাঝেও নিজেকে প্রত্যাশিত স্থান বা এর কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া যায়। ওই ব্যাপারে অনেকের ধারণা নেই।

অসংখ্য শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডাবাজি, রাজনীতি মাদকাসক্তসহ নানা রকম ঘৃণিত কাজের সঙ্গে জড়িয়ে যান। এভাবে তারা নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার গুরত্বর্পূণ সময়টুকু নষ্ট করে ফেলে।

অনেকে আবার এতোটাই পুঁথিগত বিদ্যার মাঝে ডুবে থাকেন যে, পুস্তকের বাইরে কি ঘটছে তাও জানার সুযোগ থাকে না, যা সত্যিই অপ্রত্যাশিত। একবার অনুমান করতে পারেন, যদি সব শিক্ষার্থী পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে দেশীয় চাকরির পরীক্ষা দেন, তাহলে কতভাগ অকৃতকার্য হতে পারে সিট সংকুলান না হওয়ার কারণে?

অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের প্রথম পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পর অবশ্যই ২য় পরিকল্পনা অনুযায়ী এগুতে হয়, কিন্তু যাদের কোন ব্যাকআপ প্লান না থাকে তাদের অবস্থা কি হয় একটু কি অনুধাবন করতে পারেন?

দেশীয় চাকরির পাশাপাশি থাকতে পারে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা, ব্যবসা বাণিজ্যসহ নানারকম পরিকল্পনা- যেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আপনিই হতে পারেন নতুনদের জন্য প্রেরণার উৎস।


লেখক : রেজাউল হক নাঈম
শিক্ষার্থী (পিএইচডি)
Purdue University


ঢাকা, ১৭ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ