পাবনা লাইভ : দিনমজুরের ঘরে জন্ম নিয়েও সাফল্য অর্জন করেছেন আনিসুর রহমান। দারিদ্রতাকে জয় করে তিনি অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন। সরকারি মেডিকেল কলেজে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। অর্থাভাবে থেকেও মেধাকে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। কাজের ফাঁকে ফাঁকে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন তিনি।
নুন আনতে পানতা ফুরোয় অবস্থা হলেও নিজেকে তিনি সপে দিয়েছেন পড়াশোনার রাজ্যে। প্রবল ইচ্ছাশক্তির কারণেই তিনি চান্স পেয়েছেন সোহরাওয়ার্দি মেডিকেলে।
তবে অর্থাভাবে এ স্বপ্ন পূরণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মেধাবী আনিসুর রহমানের পরিবার। তিনি এ বছর বাংলাদেশ মেডিকেল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছেন।
আনিসুর রহমান সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের বোয়াইলমারি গ্রামের দিনমজুর চাঁদ আলী প্রাং ও আছমা খাতুনের ছেলে।
তিনি জেএসসিতে এ গ্রেড, এএসসিতে এ প্লাস ও এইচএসসিতে এ প্লাস পেয়েছিল।
জানা যায়, উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের বোয়াইলমারী গ্রামের দিনমজুর চাঁদ আলীর ৪ সন্তানের মধ্যে আনিসুর ছোট। তিনি অতি কষ্টে সবার সহযোগিতায় লেখাপড়া করে এ সাফল্য অর্জন করেছেন।
চাঁদ আলী জানান, তার মাত্র ৪০ শতাংশ বাড়ির জমি ছাড়া আর কিছুই নেই। মজুরি বিক্রি করে ২ ছেলেকে লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয় বলে জানান আনিসুরের বাবা। তার আশংকা অর্থাভাবে মেধাবী ছাত্রের চিকিৎসক হওয়া স্বপ্ন ভেস্তে যেতে পারে।
সুযোগ পেলে তিনিও হতে পারেন দেশের বরেণ্য চিকিৎসকদের মধ্যে একজন। মেধাবী আনিসুরের বাবা ছেলের ডাক্তারি লেখাপড়ার জন্য বিত্তবানদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। আনিসুরের ইচ্ছা একজন চিকিৎসক হয়ে আর্ত মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা।
ঢাকা, ১৫ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: