সিকৃবি লাইভ: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্সে প্রথম স্থান অধিকার করে চ্যান্সেলর এওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স স্বর্ণ পদক পেয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার দেবাশীষ পন্ডিত।
তিনি মাস্টার্স পর্যায়ে একোয়াটিক রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে সিজিপিএ ৩.৯৬৯ (আউট অব ৪.০০) অর্জন করায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে “চ্যান্সেলর এওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স” (গোল্ড ম্যাডেল) অর্জন করেন।
বিগত ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য সমাবর্তনে ৬টি অনুষদের সর্বমোট ২ হাজার ২শ’ ৪৯ জনকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৭শ’ ৩৩ জনকে স্নাতক, ৫শ’ ১৫ জনকে এমএস ডিগ্রি ও একজনকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোঃ আবদুল হামিদ।
নিজেকে হাওর এলাকার মানুষ পরিচয় দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, আজকে যারা গোল্ড মেডেল পেয়েছে তাদের মধ্যে দুজন হাওর এলাকার লোক। আমি নিজেও হাওর এলাকার। আমি যেহেতু আসছি তাই হাওর একটু বেশিই পেল।
এর পূর্বে দেবাশীষ পন্ডিত আলমগীর মনসুর মেমোরিয়াল কলেজ হতে ২০০৮ সালে এইচএসসি এবং বেতাল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে ২০০৬ সালে এসএসসি পাশ করেন। দেবাশীষ পন্ডিত এর জন্মস্থান কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার রামদী গ্রামে। তাঁর পিতার নাম প্রফুল চন্দ্র পন্ডিত এবং মাতার নাম সতী রাণী পন্ডিত।
এখন তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির পিতৃভূমি মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া আঃ গণি উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন এবং সেই সাথে প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড স্যারের নেতৃত্বে হাওরের জীববৈচিত্র নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
তাঁর গবেষনার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বাংলাদেশ ফিসারিজ রিসার্চ ফোরাম (BFRF) থেকে ২০১৬ সালে Best Presentation Award 2016 ২০১৬ লাভ করেন। সারা বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৩ জন গবেষককে গবেষনা প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য দুই বছর পর পর সম্মেলনের মাধ্যমে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনিই প্রথম এই সম্মানজনক পুরস্কার লাভ করেন। এই তরুণ গবেষকের সর্বমোট ৪ টি গবেষনা প্রবন্ধ ইতোমধ্যে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
ঢাকা, ০৪ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: