Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

যে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন সুমাইয়া

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বার ২০১৬, ০০:৪৬

 

 

 

ক্যারিয়ার লাইভ: সুমাইয়া সুলতান। একটি নাম। একটি মেধা। যে মেধা দেশের ভাবমুর্তিকে একধাপ এগিয়ে নেয়। দুরে- বহু-দুরে। দেশে নয় বিদেশের মাটিতে তিনি মেধার স্বাক্ষর রেখে ঝড় তুলেছেন। জানান দিয়েছেন, বাংলা ভাষা-ভাষিরাও পিছিয়ে নেই। সুদুর অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকুয়ারী ইউনিভার্সিটিতে তিনি যে কৃতিত্ব রেখেছেন তার তুলনা হয়না।

২০১৬ সাল। সময়টা ছিল সুমাইয়ার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের । বিজ্ঞান ও প্রকৌশল প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখার জন্য সম্প্রতি সিডনি অপেরা হাউসে এক অনুষ্ঠানে ডিপার্টমেন্ট অব প্রিমিয়ার এন্ড কেবিনেটের সংস্থা স্টাডি এনএসডব্লিউ তাকে এই সম্মানে ভূষিত করে।

ম্যাকুয়ারী ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে নারীদের সচেতনতা ও গুরুত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে উইমেন ইন সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ওয়াইজ) প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন প্রধান উদ্যোক্তা।

 

সুমাইয়াকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচনের কারণ হিসেবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘শুধু শিক্ষাগত অর্জনের জন্য তাকে এই সম্মানে ভুষিত করা হয়নি, সমাজের মূল্যবোধে ইতিবাচক পরিবর্তনে তার অব্যাহত অবদানের জন্যই বিশেষভাবে তাকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে।’

ম্যাকুয়ারী ইউনিভার্সিটির ম্যানেজার (কেরিয়ার ও এমপ্লয়মেন্ট) জুলি ডোহার্টি সুমাইয়াকে এই পুরস্কারের জন্য নোমিনেশন প্রদান করেন।

তিনি বলেন, ‘সুমাইয়া প্রকৃত অর্থেই একজন ব্যতিক্রমী শিক্ষার্থী। আমি এটা তার একাডেমিক সাফল্যের জন্য বলছি না বরং তার মধ্যে অন্যকে প্রভাবিত করার এবং ব্যতিক্রমী কিছু একটা করার অদম্য স্পৃহা রয়েছে।’

পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সুমাইয়া সুলতান বলেন, ‘আমি প্রথম যেদিন ক্লাসে যাই সেদিন ক্লাসে মাত্র ছয় বা সাতজন নারীকে পাই। আমি এই অবস্থার পরিবর্তন করবো বলে মনস্থির করে ম্যাকুয়ারী ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে উইমেন ইন সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ওয়াইজ) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেই।’

তিনি বলেন, এনএসডব্লিউতে যাওয়ার পর আমার সেই বিশ্বাস আরো জোড়ালো হয়। আমি নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করতে শুরু করি যেন তারা আরো উপরে উঠতে পারে। তাদের মধ্যে যে সুপ্ত শক্তি রয়েছে তা জাগিয়ে দেওয়ার জন্য।’

তিনি জানান, ‘মাত্র কয়েকমাসের মধ্যেই গ্রুপের সদস্য ৮২ জনে উন্নীত হয়। গ্রুপের সাফল্যের কারণেই বাইরে থেকে তহবিল সংগ্রহের অনুমতি মিলেছে, সাফল্য না পেলে এটা সম্ভব ছিল না। আর আমাদের আট সদস্যের একটি নির্বাহী গ্রুপের নেতৃত্বও আমি দিচ্ছি।’

এ বিষয়ে ম্যাকুয়ারী ইউনিভার্সিটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, ‘ইউনিভার্সিটির কমিউনিটিতে থাকা ও পড়াশোনা করতে আসা সবার উন্নততর জীবনযাত্রায় সুমাইয়ার সাফল্য একটি অনন্য উদাহরণ।’

সুমাইয়া বাংলাদেশে কিছু করতে চান। তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে সামনে আনতে চান এদেশের নারী সমাজকে।

 

 

ঢাকা, ২০, নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)// এএসটি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ