লাইভ প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা সামনে। চলছে প্রস্তুতি। সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সবটুকু উজাড় করে দিতে হবে। কিভাবে পড়তে হবে, কোন বিষয়রে উপর জোর দিতে হবে এনিয়ে টেনশন অাছে নিশ্চই অনেকের। চলুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা চার মেধাবীর পরামর্শ শুনে নেয়া যাক। বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে হলে তাদের পরামর্ম কি জেনে নেয়া যাক।
গত বছর ঢাবিতে ক ইউনিটে প্রথম হয়েছিলেন অনিক বিশ্বাস। অনিকের গল্পটা একটু অন্যরকম। রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের এই ছাত্রটি কলেজের নির্বাচনী পরীক্ষায় টেনেটুনে পাশ করেছিলেন। বোর্ড পরীক্ষায় অনুমতি পাবেন কিনা এনিয়েও সংশয়ে ছিলেন। তবে তিনি গোল্ডেন জিপি-৫ পেয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।
অনিক জানালেন ক ইউনিটে চান্স পেতে হলে জীববিজ্ঞান ও গণিতে বেশি নজর দিতে হবে। গণিতের ক্ষেত্রে আগের বছরের প্রশ্নগুলো ভালো করে অনুশীলনের পরামর্শ দেন তিনি।
অনিক বিশ্বাস মনে করেন যারা সত্যিই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে চান তাদের উচিত ফেইসবুক ডিএক্টিভেট করে রাখা। তিনি ভর্তি পরীক্ষার দুই মাস আগে থেকেই এই কাজটি করেছেন। তিনি মনে করেন অনেকে সাজেশনের জন্য ফেইসবুক ব্যবহারের দিকে মনোযোগ দেন। এটা অহেতুক সময় নষ্ট বলেও মন্তব্য অনিক বিশ্বাসের।
গত বছর খ ইউনিটে প্রথম হয়েছিলেন অনিক ইসলাম। জানালেন ঢাবিতে খ ও ঘ ইউনিটে প্রশ্নের ধরন প্রায় একই। অর্থনীতি বিভাগের এই ছাত্র বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বইটি পড়ার পরামর্শ দেন। সাধারণ জ্ঞানের কিছু বাছাই করা বিষয় না পড়ে সব বিষয়েই চোখ বোলানো উচিত। সাম্প্রতিক বিষয়ে জ্ঞানের জন্য নিয়মিত পত্রিকা পড়ারও পরামর্শ দেন অনিক ইসলাম।
গত বছর ঢাবিতে গ ইউনিটে প্রথম হয়েছিলেন ইমতিয়াজ চৌধুরী। জানালেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি কখনও রুটিন করে পড়াশোনা করেননি। কতক্ষণ পড়াশোনা করবে সেটা শিক্ষার্থীর ওপর নির্ভর করে। আরেকজনের করে দেয়া রুটিন কোন কাজে আসে না বলে মন্তব্য করেন ইমতিয়াজ। তিনি মনে করেন জিপি-৫ পেলেই যে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স হয়ে যাবে সেটা ঠিক নয়। জিপিএ-৫ না পেয়েও ভালো প্রস্তুতি নিলে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে সহজেই চান্স হয় বলে মনে করেন তিনি।
ঢাবিতে গতবছর ঘ ইউনিটে প্রথম হয়েছিলেন অাবির হোসেন। আইন বিভাগের এই ছাত্র পরামর্শ দেন নিয়মিত পত্রিকা পড়ার। বিনোদন ছেড়ে আন্তর্জাতিক পাতার দিকে বেশি মনোযোগি হওয়ার কথা বলেন তিনি। ১২-১৬ ঘন্টা পড়াশোনা না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে টেকা কঠিন এই বিষয়টি মানতে নারাজ আবির। শুধু মুখ গুঁজে পড়ে গেলে হবে না কৌশলী হতে হয়। ধরাবাধা কোন নিয়ম নেই। কেউ হয়তো কোনদিন ৫ ঘন্টা পড়াশোনা করলো, আবার কোনদিন ১০ ঘন্টা। যেভাবে পড়াশোনা করলে সিলেবাসটা শেষ করা যায় সেভাবেই পড়া উচিত বলে মন্তব্য আবিরের। একজন শিক্ষার্থীরই বোঝা উচিৎ কোন বিষয়ে কতটুকু পড়াশোনা করতে হবে। এমনটাই মনে করেন বরিশাল ক্যাডেট কলেজের সাবেক ছাত্র আবির হোসেন।
বি: দ্র : ছবিতে বাঁ থেকে, অনিক বিশ্বাস, অনিক ইসলাম, ইমতিয়াজ চৌধুরী ও আবির হোসেন
[কার্টেসি : প্রথমআলো]
ঢাকা, ২৬ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: