কাওসার: তার সাথে আমার প্রথম পরিচয় রাতেই। প্রযুক্তির অনন্য উপহার ফেসবুকের কল্যাণে। ফেসবুকে অনেক পরিচিত মুখের দেখা মিলে প্রতিনিয়ত। এসব পরিচিত মুখগুলোর মধ্যে তাকেও খুজে পেলাম।
সেই দেখেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেকার থাকার অলস দিনগুলিতে। তখন তো তাকে চাওয়ার কিংবা পাওয়ার কথা ভাবি নাই। যখন নতুন করে তাকে পেলাম, তখনও তাকে চাওয়ার কিংবা পাওয়ার কথা ভাবতে পারলাম না।
ভাববো কি করে? আমি তো আমার কথা জানি। আমি কাউকে চাই না। চাইতে পারি না। চাইতে ভয় হয়। যদি চাওয়ার পর তাকে না পাই, না পাওয়ার কষ্ট তো আমি সইতে পারব না।
সে ছিলো আমার রাত জাগানিয়া পাখি। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো মানুষটাকে রাত জাগিয়ে রাখত। অভ্যাস টা যখন চরমে তখন সে চলে গেলো। চলেই যদি যাবে তবে কেন এই অভ্যাস করানো? সে অবশ্য বরাবরই তার আকস্মিক চলে যাওয়ার কথা বলে এসেছে।
ভেবেছিলাম, চলে গেলে কি হবে? দু একদিন একটু খারাপ লাগবে, কষ্ট হবে। তারপর আবার আগের মতই। কিন্তু এখন অনুভব করছি, কষ্টটা মনে হয় একটু বেশী হয়ে যাচ্ছে। আবার ভালোও লাগছে এই ভেবে যে আমি কাউকে মিস করছি।
এই কষ্ট আর আনন্দের একটা রহস্যময় রুপ আছে। মোবাইলের মেসেঞ্জার খুলে তার রেখে যাওয়া মেসেজ গুলোর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা। কখনও হাসা, কখনও গম্ভীর হয়ে যাওয়া।
আচ্ছা, রাত জাগানিয়া পাখি কি জানে, তার জন্য আমি এখনও জেগে থাকি। অপেক্ষায় থাকি, সে আসবে আমাকে রাত জাগানো গান শুনাবে। সে আসে না। অপেক্ষা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ি নিজেই জানি না।
হটাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায়, আবারো জেগে থাকি তার অপেক্ষায়। আমার অপেক্ষার প্রহর কি শেষ হবে না? আমি কি এভাবেই জেগে থাকব তার অপেক্ষায়? থাকলেই বা কি? সে তো জানলোই না? জানলেই বা কি?
সে তো আর আজীবন আমাকে রাত জাগানো গান শুনাতে পারবে না! আর সেটা আমি চাই কিনা, আমি জানি না। তারপরেও কেন জানি, তার অপেক্ষায় রাত জাগতে ইচ্ছা করে।
কাওসার
প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: