Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

প্রেম করে ফেঁসে গেলেন লেকচারার!

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০১৭, ২৩:৫৭



লাইভ প্রতিবেদক: প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ফেঁসে গেলেন কলেজের লেকচারার। তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে স্ত্রী ও প্রেমিকার মধ্যে টানা-টানি। কেউই তাকে ছেড়ে যেতে যাচ্ছেন না। ওই প্রভাষকের নাম আহসান হাবীব। সে খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের গহরপুর বিএমআই কলেজের ইংরেজি বিষয়ের লেতচারার। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে নীলফামারীর ডিমলায় এক কলেজছাত্রীকে বিয়ে করে ওই লেকচারার। পরবর্তীতে অস্বীকার করায় লেকচারারকে বেঁধে রেখেছেন ছাত্রীর পরিবার ও এলাকাবাসী।

একই সঙ্গে ওই লেকচারারকে স্বামী দাবি করে আরেক নারী থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ ওই লেকচারারকে এক নারীর বাসা থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এ নিয়ে দুই নারীর মধ্যে লেকচারারকে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে।

সোমবার রাতে ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে এলাকাবাসী প্রভাষককে আটক করে বেঁধে রাখেন।

এ বিষয়ে আটক আহসান হাবীব বলেন, রুমা সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে বিয়ের বিষয়টি সত্য নয়। তবে কী কারণে রুমার বাড়িতে এসেছেন তার উত্তর দিতে পারেননি লেকচারার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের গহরপুর বিএমআই কলেজের ইংরেজি বিষয়ের লেকচারার আহসান হাবীবকে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ছাতনাই গ্রামে প্রথম স্ত্রী দাবিদার কলেজছাত্রী ফেরদৌস জান্নাত রুমার বাড়িতে বেঁধে রাখা হয়।

শিক্ষককে বেঁধে রাখার সংবাদ শুনে পূর্ব ছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান লেকচারার আব্দুল লতিফ খান, ছাতনাই কলোনী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ, জেলা পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মতিন খান মতি ওই বাড়িতে যান। পরে লেকচারারকে হাতের বাঁধ খুলে দেন।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ছাতনাই গ্রামের মৃত ফজলুল হকের মেয়ে ফেরদৌস জান্নাত রুমার দাবি, ২০১২ সালে গহরপুর বিএমআই কলেজে পড়ার সময় রুমাকে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আহসান হাবীব প্রেমের প্রস্তাব দেন।

পরবর্তীতে ২০১৩ সালে রুমাকে আহসান হাবীব বিয়ে করেন। ২০১৪ সালে রুমা ওই প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করে নীলফামারীর নার্সিং কলেজ ভর্তি হন। তারা দীর্ঘদিন দুজনে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে নীলফামারী শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।

এরপর ২০১৫ সালে আহসান হাবীব রাজশাহীতে মোবাইলে প্রেমের সূত্রে গোপনে হাফিজা খাতুনকে বিয়ে করেন। হাফিজাকে বিয়ের পর আহসান হাবীব রুমাকে অস্বীকার করেন বলে দাবি করেন রুমা।

গহরপুর বিএমআই কলেজের প্রিন্সিপাল সুলতান আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা এই ঘটনাটি শুনেছি। ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে, সোমবার রাতে স্বামীকে উদ্ধারের দাবিতে হাফিজা খাতুন থানায় অভিযোগ করেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে লেকচারার আহসান হাবীবকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিপাকে পড়ে পুলিশ।

ডিমলা থানা পুলিশ জানায় এ ঘটনায় পৃথক দুটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এখনো কোন মামলা হয়নি।

 

ঢাকা, ২৮ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ