সামীর অধিকারী: বাংলাদেশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, একটি ছাড়া অন্যটি যেন অপূর্ণ। বলা হয়ে থাকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, যার কারণে একটা জাতি রাষ্ট্রের উত্থান হয়েছে। বাংলাদেশের এমন একজন মানুষ খুজে পাওয়া যাবেনা যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনেনাই।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহৎ কর্ম ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ঠিক এ কারনের এক আরেক নাম হয়েছিল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড। সত্যেন বোস, কুদরৎ-ই- খুদা, জামাল নজরুল, মেঘনাদ সাহা, কি সব অমুল্য রতনে মুখরিত ছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়।
ছিল সর্বদা অধিকার আদায়ের সোচ্চার। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান, একাত্তের মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরশাসনের অবসান, কি হয়নি এখান থেকে। এর গৌরবোজ্জ্বল অতীত আসলেই গর্ব করার মত। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র ধূলিতে নিজের পা ধৌত করে পূণ্যার্জনের সৌভাগ্য হয়েছিল।
একজন সামান্য লেখক হিসেবে কবিতার উপমায় একটু প্রশংসা করা ছাড়া আর কোন যোগ্যতাই নাই। লেখার সবথেকে প্রিয় যায়গা সনেট ও একজন ‘সনেটিয়ার’ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এ সনেটটি উৎসর্গ করলাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
জন্মছিল অবহেলি' মুখ করে আলো
কতজনে' মুখ নাকি হয়েছিল কালো
কতজনে বলেছিল নাই দরকার
তবু সে গর্জে উঠেছিল হয়ে দুর্বার
ধ্যানে জ্ঞানে সংগ্রামে সবেতেই ভালো
তব ছোঁয়ায় সর্বে যেন আগুন জ্বালো
সার্থক হল সে ঝেড়ে ফেলে হাহাকার
চারিদিকে শোনা গেল জয় জয়কার।
সোনালি সেই অতীত আজ আর নাই
তবু সবে আশা রাখি ফিরে যদি পাই
আবার জ্বলে উঠুক নিজ মহিমায়
হারিয়েছে যে সোনা ছাইয়ের তলায়
আসুক ঝড়; দাঁড়াক সে নিজস্বতায়
স্বমহিমায় দাঁড়াক; সবে তাই চাই।
পরিশেষে কবিতার সুরেই আবার বলতে চাই, অতীতের সোনালি দিনগুলো আবার ফিরে আসুক। জন্ম হোক বহু কীর্তিমান ও কীর্তিকর্মের। পৃথিবীর সর্বোত্র ছড়িয়ে যাক সেসব। মাথা উচু করে দাঁড়াক এই প্রাচ্যের অক্সফোর্ড পাশ্চাত্যের অক্সফোর্ডের পাশাপাশি।
লেখক: সমীর অধিকারী, ঢাকা
ঢাকা, ০২ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: