"হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা,
তুমি এনেছো মুঠো ভরে।
কবিতার কিছু পঙক্তি,
পিতা তোমার তরে।
দিয়ে গেছো মৃত্যুহীন প্রাণ,
অভাগা বাঙালিরে।
তোমারই দেখানো পথে,
শেখ হাসিনা আজও লড়ে।
কে রুখে তাঁরে,
কার সে সাধ্য !
শেখ হাসিনা,
সবার আরাধ্য।"
সাড়ে সাত কোটির মুখের বুলি,অর্থনৈতিক মুক্তির স্বাধীনতার জন্য আমৃত্যু লড়ে যাওয়া এক মৃত্যুহীন প্রাণের নাম শেখ মুজিব। লড়াকু মানসিকতার এক নক্ষত্রসম প্রতিচ্ছবির নাম শেখ মুজিব। স্বীয় মাতার আশীর্বাদকে মাথায় নিয়ে দেশ মাতার জন্য পুরো পরিবারকে আমৃত্যুই মৃত্যুর স্বাদ দেওয়া এক মহামানবের নাম শেখ মুজিব।
লড়েছেন, মরেছেন তবে হারেননি। এক মৃত্যুহীন প্রাণ নিয়ে এসেছিলেন বাঙালির আশীর্বাদিক পুরুষ হয়ে।
অর্জনের সবটুকু জুড়ে বাঙালির হৃদয় ছুঁয়ে গেছেন আমৃত্যু। দেহের মৃত্যুর পর শেখ মুজিব হয়ে উঠেছেন আরও বহুগুণ শক্তিশালী রুপে।
টুঙ্গিপাড়ার খোকা জীবদ্দশাতেই হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বনেতা।
তাঁরই বিজয় কেতন উড়ানো মশাল আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করার পায়তারা করেছিলো একটা অপশক্তি।
ইতিহাস আরও শতরুপে ধরা দিয়েছে বাঙালির হৃদয় মন্দিরে। কৃতজ্ঞ বাঙালি বিলম্বে হলেও ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের। পিতা মুজিবের বিজয় কেতন উড়ানো মশাল তুলে দিয়েছে, তাঁরই যোগ্য উত্তরসূরী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতে।
এভাবেই দেহের মৃত্যু ঘটলেও পিতা মুজিব আরও অনেক বেশি শক্তিশালী রুপে ধরা দিয়েছেন শেখ হাসিনার অবয়বে।
শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০২১, এমনই এক সোনালী মুহূর্তে এসে পিতা মুজিবের জন্মশতবর্ষ ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী চলছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমীক্ষায় যখন বাংলাদেশ পাশ্ববর্তী সকল দেশকে ছাপিয়ে, বিশ্বরাজনীতিতে আলোক শিখা হাতে প্রস্ফুটিত গোলাপের ন্যায় রাজ করে চলছে, ঠিক তখনই সম্মানের সহিত বাংলাদেশ তাঁর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করছে স্বমহিমায়। পাশ্ববর্তী সকল দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের পাশাপাশি, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশ্বরাজনীতির বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিরাও বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করছে। এটা গৌরবের এবং অর্জনের।
শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অর্জিত স্বাধীনতাকে এমনই এক সোনালী দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছেন, যা সারা পৃথিবীর ঈর্ষারও কারন বটে।
স্বপ্ন ছুঁয়ে যাওয়া ফিনিক্স পাখির মতো, স্বাধীনতা প্রায় অসার এমনই এক অবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা, কল্প কাহিনির মতো নয়, ঘাম আর রক্ত জড়িয়ে তবেই পিতা মুজিবের অর্জিত স্বাধীনতার বিজয় কেতন উড়িয়ে যাচ্ছেন দিগ্বিদিক।
শেখ হাসিনার রূপকল্প ভাবাদর্শে আগামীর বাংলাদেশ পরিচালিত হলেই কেবল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী ও সুন্দর সোনার বাংলা গড়ে উঠবে। দক্ষিণ এশীয় ভূ-রাজনৈতিক অবকাঠামোয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ছড়ি ঘুরাবে নিশ্চয়ই। আমৃত্যু লড়ে যাওয়া পিতা মুজিবের রক্তের ঋণ হয়তো কখনো শোধ করতে পারবে না বাংলাদেশ, তবে তাঁরই স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত কে সুসংহত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ রক্তের উত্তরসূরীতা ধরে রাখবে যুগের পর যুগ।
দেশরত্নের এই স্বপ্নীল যুগযাত্রা অব্যহত থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।
"বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী লগ্নে-
মহান স্রষ্টার কাছে করি আবেদন,
শেখ হাসিনা শতায়ু হোন।"
লেখক: হোসাইন মাহমুদ আপেল
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা, ২৫ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: