পোক্ত-প্রতিবাদ
সাদমান সাকিল
[উৎসর্গঃ- সংখ্যালঘুদের প্রতি]
কে রে সে- কে রে?
বৌদ্ধ ভিক্ষু?
দা এর কোপে দাও না কেন মাথা দু'ভাগ করে?
বলো খানিক- কি দোষ তাহার? কি করেছে কি?
কারণ শুনে তবেই না হয় দা'এর কোপটি দিই?
বৌদ্ধ সে যে। বৌদ্ধরা সব বার্মাদেশে যাচ্ছে মুমিন মেরে
নিচ্ছে তারা মুসলমানের জায়গা-জমিন কেড়ে।
নির্বিচারে শত শিশু মরছে তাদের হাতে,
রাখাইন পাড়ায় আগুন লাগাও- নিশিথ- আধাঁর-রাতে।
বাংলাদেশের রাখাইন পাড়ায়? কি দোষ তাদের কি?
বুদ্ধু ছেলে! বৌদ্ধ তারা- তা জানো না নাকি?
বাংলাদেশের বৌদ্ধ যারা- কি হে তাদের দোষ?
মারছে না কো মানুষ তারা।
তবুও কেন রোষ?
দেখছি না কো ছাই দিতে তো মোদের বাড়া ভাতে,
শুনছি না তো আগুন লাগায় অন্ধ-কালো-রাতে।
দিচ্ছে না তো আঘাত তারা মুসলমানের জানে,
বিদ্ধ কেন করব তাদের হিংসা-মাখা-বাণে?
ভীনদেশীদের কর্মপাপের দোষ কি রাখাইনপাড়ার?
দোষ না হলে কি অধিকার শান্তি তাদের কাড়ার?
হিন্দু-মুমিন-খ্রিষ্ট-রাখাইন বাংলা-ফুলের পাপড়ি,
দেখবো যেথায়, নিব সেথায়- বুকের মাঝে জাপড়ি।
গড়ে তোল মানবসকল হাতে রেখে হাত,
মানবতার বিরুদ্ধতার পোক্ত প্রতিবাদ!
মুসলমান হয়ে জন্মানো কি বড় বেশি দোষের
সাদমান সাকিল
[উৎসর্গঃ- মায়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের প্রতি]
চকচকে ধর্মের ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে আছে ধর্মের তথাকথিত রক্ষক।
সামনে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানবতা-শিশু,
পৃথিবীর বিষ এখনো তাদের গায়ে সামান্যটুকুও লাগে নি।
ধর্মকর্তা ছুরির ফলা লাগিয়ে চিরে যাচ্ছে মানবতা-শিশুর কোমল বুক-
খলখল করে বের হয়ে আসে টকটকে লাল রক্ত।
সামান্য টুকুও পাপ নেই সেই রক্তে,
নেই কোনো সাম্প্রদায়িকতার পঙ্কিল কণিকা।
আমি মানুষ, কবি!
সাহস করে সহসা একদিন দাঁড়ালাম ধর্ম কর্তার সামনে-
সে বলল, কে তুমি? কি চাও?
আমি বলেছি, আমি কবি, মানবতা চাই কিছু।
উত্তর আসলো, দূর হ, শালা।
মানবতা নামে কিছু নেই পৃথিবীতে।
সব তোদের কবিতা লেখার ধান্দা ছাড়া আর কিছু নয়।
যা শালা, ভাগ-
এর পরেও তার সাথে আমার কয়েকটি কথা হলো-
যে শিশুকে তুমি হত্যা করলে তার দোষ কি?
তার দোষ সে মুসলমান।
তোমার সন্তানকে অন্য কেউ হত্যা করলে- তা কি মেনে নিবে?
কেন কি দোষ তার?
সে যে বৌদ্ধ-রাখাইন!
বৌদ্ধ-রাখাইন হওয়া কি দোষের কিছু?
মুসলমান হয়ে জন্মানো কি বড় বেশি দোষের?
ঢাকা, ২২, নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)// আইএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: