স্পোর্টস ডেস্ক: তামিম ইকবালের ব্যাটে শুরুটা ভালো হলেও মাঝের ওভারগুলোতে রানের গতি বাড়াতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদি হাসান মিরাজ দারুণ ব্যাটিং করলেও ইনিংসগুলো বড় করতে ব্যর্থ হয়। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শুরুতে ধুঁকলেও অপরাজিত ছিলেন শেষ অবদি। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৯০ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
রোববার হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জেতার জন্য জিম্বাবুয়ের দরকার ২৯১ রান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সামনে এই লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা।
বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ছিল দারুণ। অফসাইডে ছয় ফিল্ডার রেখে তামিম ইকবালকে ক্রমাগত করা হচ্ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে বল। এর মধ্যেই ফাঁকা জায়গা বের করে বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছিলেন তামিম। যদিও তাকে থামতে হয় ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ বলে ৫০ রান করে। চিভাঙ্গার বলে তুলে মারতে গিয়ে তামিম ক্যাচ দেন কাইতানোর হাতে।
এরপর অনেকটা দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে আউট হতে হয় এনামুল হক বিজয়কে। চিভাঙ্গার বলে স্ট্রেট ড্রাইভ খেলেন শান্ত। বিজয় তখন ছিলেন নন স্ট্রাইকে। চিভাঙ্গার হাত ছুঁয়ে বল স্টাম্পে লাগলে ২৫ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় বিজয়কে।
মাঝে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসেন মুশফিকুর রহিমও। ১ চারে ৩১ বলে ২৫ রান করেন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্ত ক্রিজে ছিলেন অনেক্ষণ। মনে হচ্ছিল চার বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাবেন তিনি।
কিন্তু তার ধীরগতির ৫৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংস থামে মাদাভিরার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিলে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও খেলছিলেন অনেকটা একই রকম ইনিংস। যদিও শেষদিকে কিছু বাউন্ডারে হাঁকিয়ে রানের সঙ্গে বলের পার্থক্য কমিয়েছেন তিনি। তবুও বাউন্ডারি হাঁকাতে তার ভোগান্তি, রান নিতে কষ্ট ফুটে উঠেছে স্পষ্ট।
শেষ পর্যন্ত এই ব্যাটার ৩ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৮৪ বলে ৮০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের রানের জন্য ধন্যবাদ পেতে পারেন আফিফ হোসেন। ৪১ বলে ৪১ রান করে তিনি অবশ্য আউট হয়েছেন হতাশাজনকভাবে। সিকান্দার রাজার বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে দাঁড়ানো চিভাঙ্গার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন।
ঢাকা, ০৭ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: