স্পোর্টস লাইভ: কিছুদিন আগে টি-টোয়েন্টিতে সেরা স্লোয়ার পেসার হিসেবে বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমানকে একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ইএসপিএনক্রিকইনফো। প্রতিবেদনে টাইগার এই পেসারের ভালোই প্রশংসা করেছে ওয়েবসাইটটি।
সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করলেই দেখা যায় মুস্তাফিজের পারফরম্যান্স সেরাদের কাতারে তো নেই-ই, বরং দিন দিন দর্শকদের মনে বিরক্তির কারণ হয়ে উঠছেন মুস্তাফিজ। গত এক বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, এই পেসার উইকেট পেলেও বল হাতে বেশ বিবর্ণ। গত এক বছরে ন্যূনতম ১০ উইকেট পাওয়া বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বাজে গড় মুস্তাফিজের।
অথচ এই মুস্তাফিজকেই দলের সেরা বোলার এবং অটোচয়েজ বলেই বিবেচনা করছে দেশের ক্রিকেটের হর্তাকর্তারা। ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে মুস্তাফিজকে নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, আসলে মুস্তাফিজ তো আনডাউটেডলি আমাদের ফার্স্ট চয়েজ, বেস্ট বোলার। এখন আমার ধারণা, সে ফিরবে। তার কামব্যাক করা উচিত।
কিন্তু মুস্তাফিজের এই কামব্যাক আর কবে হবে। গেল এক বছরে টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজের ভালো ইকোনমি রেট বা পারফরম্যান্সের আলোচনায় আছে মিরপুরের স্টেডিয়াম। এখানে ৪ ম্যাচে মাত্র সাড়ে পাঁচ ইকোনমিতে বোলিং করেছে এই পেসার।
কিন্তু দেশের বাইরে গেলেই দেদারসে রান বিলোচ্ছেন এই পেসার। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের আজকের ম্যাচে (৭ অক্টোবর) পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। শেষ ২ ওভারেই দিয়েছেন ২৯ রান। কেবল রান বিলানোই নয়, মুস্তাফিজের বোলিংয়ে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের জন্য কোনো বিপদের চিহ্নও দেখা যায়নি।
ঘরের বাইরে অকাতরে রান বিলানো ‘অটোচয়েজ’ মুস্তাফিজের ক্ষেত্রে প্রথাটা কবে ভাঙা হবে? সেই সময়টা কী এখনও আসেনি, নাকি বিশ্বকাপ পর্যন্ত মুস্তাফিজের বিরক্তি ধরানো রান বিলানো দেখতেই হবে সমর্থকদের?
মুস্তাফিজের এমন বিবর্ণ বোলিংয়ের জন্য এশিয়া কাপের সময় টাইগার টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ বলেছিলেন, অটোচয়েজ প্রথা ভাঙার সময় হয়েছে। গেল ১৫-১৬ ম্যাচে ও (ফিজ) ভালো করতে পারছে না। এটা ভয়ের কারণ। তবে বিশ্বাস আছে সে কামব্যাক করবে।
ঢাকা, ০৭ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: