Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বুধবার, ৮ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

রোনাল্ডোর ব্রোঞ্জ ভাস্কর্য নিয়ে ফুটবল বিশ্বে মিশ্র প্রতিক্রিয়া!

প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০১৭, ০১:৪৯

 
স্পোর্টস লাইভ: পর্তুগালের সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ব্রোঞ্জ নির্মিত ভাস্কর্য নিয়ে ফুটবল বিশ্বে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পর্তুগালের মাদেইরা শহরের বিমানবন্দরে রোনাল্ডোর ব্রোঞ্জ নির্মিত ভাস্কর্য স্থাপনের পর এই প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
 
ভাস্কর্যটির স্থপতি ইমানুয়েল সন্তোষ বিতর্ক আরও উষ্কে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তার সৃষ্টি সবার পছন্দ হবে এটা ভাবা ঠিক নয়। আমার পক্ষেও সবাইকে খুশি করা সম্ভব নয়।’ 
 
চারবারের ফিফা বর্ষসেরা পদক বিজয়ী ৩২-বছর বয়সী রোনাল্ডোর জন্মস্থান দেশটির মাদেইরা শহরে। কিছুদিন আগে স্থানীয় প্রশাসন রিয়াল মার্দিদ তারকা সম্মানে স্থানীয় বিমানবন্দরটির নাম পরিবর্তন করে ‘ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বিমানবন্দর’ নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সঙ্গে বিমানবন্দরে রোনাল্ডোর একটি ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যও স্থাপন করা হয়। স্থানীয় ভাস্কর ইমানুয়েল সন্তোষ প্রায় ৩ সপ্তাহ ব্যয় করে আবক্ষমূর্তিটি তৈরী করেন।
 
মঙ্গলবার পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুজা নতুন নামকরণ করা বিমানবন্দরের ফলক উন্মোচন করেন। এসময় স্বয়ং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আবক্ষমূর্তিটি উন্মোচনের পর তা দেখে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে সারা বিশ্বের ফুটবল ভক্তরা।
 
তারা বলেন, রোনাল্ডোর আবক্ষমূর্তিটি অনেকটা আয়ারল্যান্ডের সাবেক তারকা নিয়াল কুইনেন মতই হয়েছে দেখতে। বিভিন্ন ধরনের ট্রোলও ফেসবুকে শুরু হয়ে যায়।
 
এমনি অবস্থায় ভাস্কর সন্তোষ বলেন, ‘তিনি তার সৃষ্টি নিয়ে খুশি।’
 
তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে যেমন গ্রীক ও ট্রোজানবাসীদের সন্তুষ্ট করা অসম্ভব। তেমনি যিশুও সবাইকে খুশি করতে পারেনি ’। এটা অনেকটা রুচির উপর নির্ভর করে এবং যতটা সহজ দেখাচ্ছে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা ততটা সহজ ছিলনা।’
 
যেটা আসলে দেখার বিষয় সেটা হল এই কাজ মানুষের মধ্যে কি পরিমাণ প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়। পার্থক্য তৈরী করার মত সুযোগ সবসময় থাকে, এবং আমি এটার জন্য তৈরী আছি। ভাস্কর্য তৈরিতে আমি রোনল্ডোর বেশকয়েকটি ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করেছিলাম। সেই ছবিগুলো সমানে রেখেই ভাস্কর্যটি নির্মাণ শুরু করেছিলাম, যোগ করেন তিনি।
 
সন্তোষ আরো বলেন,  ছোটখাট কিছু পরিবর্তনের কথা বলা বাদে ভাস্কর্যটির ছবি দেখে স্বয়ং রোনাল্ডো আশীর্বাদ করেছিলেন। কেননা এটি যখন তৈরী হয় তখন এই ভাস্কর্যের ছবি তুলে রোনাল্ডোর ভাইয়ের মাধ্যমে তার কাছে পাঠানো হয়েছিল। ছবিগুলো দেখে রোনাল্ডো নিজেও এটি পছন্দ করেছিল। শুধুমাত্র হাসি দেয়ার সময় রোনাল্ডোর মুখের অভিব্যক্তির কিছুটি পরিবর্তনের জন্য সেসময় বলা হয়েছিল যাতে করে ভাস্কর্যটিকে আরো বেশি প্রফুল্ল দেখা যায়। দ্যা গার্ডিয়ান।
 
ভিডিও লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=W7km3cu0HuI
 
 
ঢাকা, ৩০ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ