স্পোর্টস লাইভ: ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে রানের মধ্যে থাকা মোহাম্মদ মিঠুন আলো ছড়িয়েছেন আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সফরে। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৪৭.৭৫ গড়ে করেছেন ১৯১ রান। সফরের শেষ টি-টুয়েন্টিতে এ ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ৮০ রানের বিধ্বংসী ইনিংসেই জয় মিলেছে।
সেই সুবাদে মিঠুন ফিরে পেয়েছেন হারানো ঠিকানা। এক সিরিজ পরই ফিরেছেন ওয়ানডে দলে। এশিয়া কাপের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে আছেন।
কেউ যখন ফর্মে থাকে তখন তাকে ঘিরে প্রত্যাশা বাড়ে। সাম্প্রতিক ফর্ম বিচারে আসন্ন এশিয়া কাপে মিঠুনকে নিয়ে থাকবে বাড়তি আশা। যদিও প্রশ্ন উচ্চকিত, কোন পজিশনে খেলবেন তিনি, ২২ গজে ভূমিকাই-বা কেমন হবে?
দল থেকে বাদ পড়া সাব্বির রহমানের জায়গা, অর্থাৎ সাত নম্বরেই বিবেচিত হতে পারেন আগের সুযোগে তামিম ইকবারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামা মিঠুন। যার জায়গায় খেলবেন তাকে ছাড়িয়ে যাওয়া কিংবা একই ধরণের ভূমিকা পালনে অবশ্য বিশ্বাসী নন মিঠুন। সুযোগ পেলে দেখাতে চান নিজস্ব সামর্থ্যের প্রতিফলন।
‘দেখুন কাউকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারটিতে আমি বিশ্বাসী না। কারণ যার জায়গায় খেলব সে হয়ত একধরণের ভূমিকা পালন করত, আমি ভিন্ন ভূমিকা পালন করব। আমি পুরোপুরি আলাদা একজন মানুষ। আমি হয়ত তার থেকেও ভালো করতে পারি।’
ফর্মে থাকায় প্রত্যাশা বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মিঠুন বললেন, ‘আমার অবশ্যই আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে এবং আমার দিক থেকে সম্ভাব্য সেরাটি দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।’
প্রায় সাড়ে তিন বছরের ব্যবধানে মিঠুন ওয়ানডে দলে ডাক পান এ বছরের শুরুতে ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে। অপেক্ষার পর ফাইনাল ম্যাচটি খেলার সুযোগ পেয়ে করেন ১০ রান। আবার তার দলে ফেরা প্রায় আট মাসের ব্যবধানে। জাতীয় দলে জায়গা পাকা করতে না পারার আক্ষেপ ভুলে তাকাতে চান সামনে।
‘যেটি অতীতে চলে গিয়েছে সেটি চিন্তা করলে আসলে সামনে খুব বেশি ভালো কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা কম। সুতরাং যেটি চলে গিয়েছে তা গিয়েছেই। ফেরত তো আর আনতে পারব না। সামনে যে সুযোগটি আসবে, সেটির সম্ভাব্য ব্যবহার করার জন্য চেষ্টা করব।’
চার বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার হলেও মিঠুন খেলার সুযোগ পেয়েছেন খুব কম সময়ই। বেশিরভাগ সময়ই তাকে থাকতে হয় আসা-যাওয়ার মধ্যে। যে কারণে নামের পাশে মাত্র তিনটি ওয়ানডে ও ১৩টি টি-টুয়েন্টি। নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ তৈরি করতে না পারার ব্যর্থতা পেছনে ফেলে চেষ্টা করে যেতে চান নতুন করে ক্যারিয়ার নির্মাণে।
‘আসলে কারোরই প্রত্যাশা থাকে না শুধু স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়ার। অবশ্যই একাদশে সুযোগ পেয়ে দলের জন্য কিছু করা বা নিজের জায়গাটা পাকা করাটাই থাকে মূল উদ্দেশ্য। এরপরও কখনও হয়, কখনও হয় না। মানুষের জীবন সবসময় একরকম যায় না। সব চেষ্টা যে সফল হবে সেটাও না। আমরা চেষ্টা করতে পারি আমাদের ক্যারিয়ার কীভাবে আরও সুন্দর করা যায়।’
[সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন]
ঢাকা, ০২ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: