স্পোর্টস লাইভ: অবশেষে ইংলিশরাই সেমিতে গেল। নানান হিসাব-নিকাশ শেষ। সুইডেনের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ইংল্যান্ডের সামনে বারবার আসছিল ‘সুইডেন নিয়ে নানান কথা’ কথাটি। কী সেই ভয়? বিশ্বকাপের মূলপর্ব ও বাছাইপর্ব মিলিয়ে সুইডেনকে কখনোই হারাতে পারেনি ইংল্যান্ড।
২-০ গোলের জয় নিয়ে ইংল্যান্ড শুধু জুজুই কাটাইনি, ২৮ বছর পর পৌঁছে গিয়েছে সেমিফাইনালে। ইংলিশদের এই জয় এনে দিয়েছেন দুই তরুণ হ্যারি ম্যাগুয়ার ও ডেলে আলি। দুজনেই গোল করেছেন হেডে (পড়ুন মাথা দিয়ে)। আসলে ইংল্যান্ডের মাথার কাছে হারল সুইডেন।
ইংল্যান্ডের কাছে সুইডেন এত দিন ছিল বড় এক ধাঁধার নাম! সব মিলিয়ে ইংল্যান্ড ও সুইডেনের মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়-পরাজয়ে সমতা থাকলেও, বিশ্বকাপে হিসেব টা অন্যরকম। বিশ্ব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে যে কখনোই সুইডেনকে হারাতে পারেনি ইংল্যান্ড। অবশ্য বিশ্বকাপে মাত্র দুবারই মুখোমুখি হয়েছে দুই দল।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব? সেখানেও সমতা, দুই ম্যাচের একটিতেও একে অন্যের জালে বল ঢোকাতে পারেনি ইংল্যান্ড ও সুইডেন। কিন্তু আজ থেকে কথাটি বদলে গেল। বিশ্বকাপে সুইডেনকেও হারাতে পারে ইংল্যান্ড।
খেলার স্কোর লাইনের ২-০ দেখলে মনে হতে পারে ম্যাচটা একপেশে হয়েছে। আসলে কিন্তু তা নয়। বল দখলের লড়াই ও আক্রমণে হ্যারি কেইনের দল এগিয়ে থাকলেও, প্রতি আক্রমণ থেকে বারবার ইংলিশদের পরীক্ষা নিয়েছে সুইডিশরা। মূলত পরাজিত দলের সামনে চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।
গোল খাব না, এই দৃঢ় বিশ্বাস নিয়েই যেন মাঠে নেমেছিলেন ইংলিশরা। ভক্তদের ভাষ্য ইংলিশরাই সেরা।
ঢাকা, ০৭ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: