স্পোর্টস লাইভ: ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপের সময় ইউরোপে তখন বাজছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা। ইউরোপেই তখন বসেছে বিশ্বকাপ খেলার আসর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অযুহাত দেখিয়ে বিশ্বকাপ খেলায় অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায় লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। আর গৃহযুদ্ধের কারণে নিজেদের সরিয়ে নেয় আরেক ফ্যাসিবাদি শাসক ফ্রাঙ্কোর দেশ স্পেন।
১৯৩৮ সালে তৃতীয় ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ ছিল ফ্রান্স। আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে অংশ না নেওয়ায় জৌলুস হারায় সেই বিশ্বকাপ। তবে তাতে উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি এবারও জিতে টানা দুই বিশ্বকাপ জয় করে। যদিও সেই জয় নানান দোষে দুষ্ট। সেটা নিয়ে পরে আলোচনা করা হবে। আসুন তার আগে শুরুর গল্পটা শেষ করি।
১৯২০ সালে ক্ষমতার মসনদে বসে ফ্যাসিবাদি একনায়ক মুসোলিনি খেলাকেও তার রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়ে ফেলেন। এর বড় উদাহরণ ১৯৩৪ আর ১৯৩৮ সালে ইতালির টানা দুই ফুটবল বিশ্বকাপ জয়।
তৃতীয় বিশ্বকাপে মোট ১৬টি দল অংশ নেয়। কিন্তু জার্মানির একনায়ক হিটলার কর্তৃক আক্রমণের ফলে সরে দাঁড়ায় অস্ট্রিয়া। ফলে দল সংখ্যা নেমে আসে ১৫’তে। সেবারই প্রথম আয়োজক দেশ আর আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন দেশ বাছাই পর্ব ছাড়াই সরাসরি অংশ নেয়। সেই হিসেবে আয়োজক ফ্রান্স আর চ্যাম্পিয়ন ইতালি সরাসরি অংশ নেয়। আরেকটা বিষয় হচ্ছে সেবার অংশগ্রহণকারী ১৬ দলের ১৩টিই ছিলো ইউরোপের। সেবারই প্রথম জার্সিতে নম্বর ব্যবহার করা হয়।
১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপের সবচেয়ে চমক জাগানিয়া দল ছিলো ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ (বর্তমান ইন্দোনেশিয়া)। এশিয়ার প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপে অংশ নেয় সাবেক এই ডাচ কলোনি। আরও এক চমক ছিল কিউবার অংশগ্রহণ। সেটাই অবশ্য দুই দলেরই একমাত্র বিশ্বকাপ আসর হয়ে আছে।
ফ্যাসিস্টদের কায়দায় স্যালুট করছে ইতালির ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে গৃহযুদ্ধ আক্রান্ত স্পেন সরে দাঁড়ায়। মূলত এই গৃহযুদ্ধই পরে সারা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে, আরও স্পষ্ট করে বললে জার্মানি যখন অস্ট্রিয়ায় হামলা করে তখন। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার কথা ছিল অস্ট্রিয়ারও।
ঢাকা, ২৩ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: