লাইভ প্রতিবেদক: লম্পট প্রাইভেট শিক্ষকের পরকিয়ার বলি হলেন মেধাবী স্কুলছাত্রী। নিজের পরিচয় গোপন করে ছাত্রীর সাথে প্রেম। পরিণামে ছাত্রীকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হলো।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙ্গা থানা সংলগ্ন কাপুড়িয়া সদরদী গ্রামে লিটু মোল্লার ভাড়া বাসায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
ওই ছাত্রীর নাম হিরা মনি ত্রিশা (১৫)। তিনি আলগী ইউনিয়নের শাহমুল্লদী গ্রামের মনির ভুইয়ার মেয়ে। হিরা ভাঙ্গা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ফার্স্ট গার্ল ছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙ্গা থানা সংলগ্ন কাপুড়িয়া সদরদী গ্রামে লিটু মোল্লার ভাড়া বাসায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে দশম শ্রেণির ফার্স্ট গার্ল হিরা মনি ত্রিশা (১৫)। পুলিশ হিরার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
তার মৃত্যুতে সহপাঠী ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। শিক্ষক আজাদ ও তার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের নামে ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে।
হিরার পরিবার সূত্রে জানা যায়, হিরা দশম শ্রেণির প্রথম স্থান অধিকারী ছাত্রী ছিল। সে তার স্কুলের শিক্ষক আজাদের কাছে প্রাইভেট পড়তো। স্ত্রী ও দুই সন্তান থাকা সত্ত্বেও বিষয়টি গোপন রেখে হিরার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই শিক্ষক। এনিয়ে আজাদকে সন্দেহ করতো তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হিরাদের ভাড়া বাসায় পড়াতে যান আজাদ মাস্টার। রাত ৮টার দিকে হিরাদের বাসায় গিয়ে স্বামী আজাদের সামনে হিরা ও তার মাকে গালিগালাজ করে মাহমুদা বেগম। অপবাদ সহ্য করতে না পেরে নিজের রুমে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে হিরা।
ভাঙ্গা থানার ওসি সৈয়দ আবদুল্লাহ জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনায় নারী-শিশু নির্যাতন আইনে শিক্ষক আজাদ ও তার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের নামে মামলা করেছেন নিহত হিরার মা হাওয়া বেগম। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ঢাকা, ০৭ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: