লাইভ ডেস্ক: ধর্মীয় অনুসারীদের কার্যক্রমের ওপর চীনের কঠোর নিষেধাজ্ঞায় পৃথিবী ব্যাপি সাধারণ ধর্মীয় মানুষের মাঝে ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে। শুরু হয়েছে নানান আলোচনা ও সমালোচনা। চীন সরকার ২০২০ সালেও ধর্মের ওপর নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রেখেছে। একইভাবে ব্যক্তির ধর্মীয় দৃষ্টি ভঙ্গিও নানান ভাবে বাধাঁগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) স্বার্থের হুমকিস্বরূপ মনে হয় এমন ধর্মীয় কার্যক্রম এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপরও বিধি-নিষেধ চলেছে।
এ তথ্য জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (আইআরএফ)। ২০২০ তাদের এক প্রতিবেদনে এ চিত্র ফুটে উঠে। সম্প্রতি প্রকাশিত আইআরএফের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যুর খবর অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়াও সরকারের নির্যাতন, শারীরিকভাবে নির্যাতন, গ্রেপ্তার, আটক, কারাদন্ড, চায়না কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) মতাদর্শ মানতে বাধ্য করা এবং ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চার জন্য নিবন্ধিত বা অনিবন্ধিত ধর্মীয়দলগুলোকে হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে। সকল ধর্মীয় মতাদর্শ ও চর্চাগুলোকে সিসিপির মতাদর্শের অধীনে নিয়ে আসতে ২০১৯-২০২৪ সালের প্রচারণা ‘সিনিসাইসেসন’ এখনো অব্যাহত রেখেছে।
এছাড়া ‘গোষ্ঠী’ হিসেবে উল্লেখিত ধর্মীয় দলগুলোর বিরুদ্ধে চীন সরকার তাদের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে এবং অন্যান্য ধর্মীয় দলগুলোকেও নিষিদ্ধ করছে। যেমন- ১৯৯০ সালে ফালুন গং নামে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ধর্মীয় দলকে নিষিদ্ধ করা হয়। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারীকে ব্যবহার করে সরকারের নজরদারি আরো বেড়েছে এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
এছাড়া বাইবেল, কুরআন এবং অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থগুলো ছাপানো ও বন্টনের ওপরও বিধি-নিষেধ অব্যাহত রেখেছে সরকার। এছাড়া ধর্মীয় প্রকাশনা ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরও শাস্তি প্রদান অব্যাহত রয়েছে। ওই প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, ইসলামী, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং তাওবাদীদের উপাসনালয়গুলোকে বন্ধ অথবা ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে এবং দেশজুড়ে ধর্মীয় চিহ্নগুলোর প্রদর্শনও ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে।
এদিকে কর্মসংস্থান, আবাসন এবং ব্যবসায়িক সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রেও খ্রিস্টান, মুসলিম, তিব্বতীয় বৌদ্ধ এবং ফালুন গং সম্প্রদায়ও নানাভাবে বৈষম্যের শিকার। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন গত বছর ইন্দোনেশিয়া সফরকালে বলেছিলেন, ‘ মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং ফালুন গং ধর্ম অনুসারীদের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সিসিপির যুদ্ধ হচ্ছে ধর্মীয় স্বাধীনতার বিপক্ষে সবচেয়ে বড় হুমকি।’ এটা নিয়ে গোটা দুনিয়ায় চলছে তোলপাড়।
ঢাকা, ২০ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআইটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: