Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

নজরদারির আওতায় আসছে সরকারী কলেজের শিক্ষকরা!

প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০১৭, ০৫:২৮



লাইভ প্রতিবেদক: ক্লাসে হাজিরা নিশ্চিত করতে নানান কৌশল নিয়েছে  মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। ক্লাস ফা৭কির প্রবনতা বৃদ্ধিতে অস্থির শিক্ষা অধিদফতর। কিছুতেই এই প্রতারণা বন্ধ করা যাচ্ছিলো না। অবশেষে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের আওতায় আনা হচ্ছে সরকারি কলেজের শিক্ষকদের। কেন তারা ক্লাস ফাঁকি দেন, কেন তারা আগেবাগেই স্কুল ত্যাগ করে নিজ কাজে চলে যান এসব কিছু ধরতেই এতসব আয়োজন। ক্লাস ফাঁকি এবং শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে এপ্রিল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

এ কার্যক্রমের আওতায় সরকারিভাবে প্রত্যেক শিক্ষককে মোবাইল সিম দেয়া হবে। সিমের মাধ্যমে জিপিআরএস পদ্ধতিতে শিক্ষকদের অবস্থান নিশ্চিত করবেন মাউশি কর্মকর্তারা।
 
মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, ‘কলেজ চলাকালে শিক্ষকরা ঠিকমতো কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না- এমন অভিযোগ আছে। আবার অনেক শিক্ষক রয়েছেন যারা সপ্তাহে দু-তিনদিনের বেশি কর্মস্থলে যান না। পাঠদানে অনীহার কারণে সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।’ এসব বন্ধে এই পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে।
 
একারণে প্রতি বছরই পাবলিক পরীক্ষায় তুলনামূলক খারাপ ফল করছে এসব কলেজ। শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে এ ডিজিটাল মনিটরিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এগুলোই হল ডিজিটাল বাংলাদেশের ফসল।

মাউশি মহাপরিচালক আরও জানান, এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটক ও বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সব শিক্ষককে মোবাইল সিমকার্ড দেয়া হবে। জিপিআরএস পদ্ধতিতে মাউশিতে বসেই শিক্ষকদের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারব আমরা। এসব করলে হয়তো তারা সতর্ক হয়ে ক্লাসে মনোনিবেশ করবেন। বাড়বে শিক্ষার মান।
 
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি কলেজেরপ্রিন্সিপালরা প্রশাসনিক কাজে বেশিরভাগ সময় কলেজে অনুপস্থিত থাকেন। এ সুযোগে ক্লাস ফাঁকি দেন শিক্ষকরা। অনেকে আবার পছন্দের কলেজ, মাউশি, শিক্ষাবোর্ডসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রকল্পে পদায়নের জন্য তদবিরে ব্যস্ত থাকেন। কেউ কেউ আবার বসতবাড়ি থেকে কর্মস্থল দূরে থাকায় সপ্তাহে দু-তিনদিনের বেশি কলেজে যান না। এতো মামুলি ব্যাপার মাত্র।

মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ক্লাস ফাঁকি দিয়ে তদবিরের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ভিড় করায় চরম ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। কয়েক দফা নির্দেশনা জারি করেও শিক্ষকদের তদবির ঠেকাতে পারেননি তিনি। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে অনুষ্ঠিত সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। সবাইকে জবাবদিহির মধ্যে আনতে হবে। আমরা ধীরে ধীরে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করবো। 

অধ্যক্ষদের উদ্দেশ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের কাজ কলেজে শিক্ষা দেয়া। কিন্তু অনেকেই আসেন অফিসার হতে। তা না হলে ঢাকায় পোস্টিং চান। এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার বার্তা শিক্ষকদের পৌঁছে দেবেন আপনারা।’

মাউশি সূত্র জানায়, শিক্ষকদের ডিজিটাল হাজিরা নিশ্চিত করতে জানুয়ারি থেকে মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে দেশের ৩২৯টি কলেজের প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষকের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়। একই সঙ্গে অধিদফতরের মহাপরিচালক কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, সিলেট, ঢাকা ও বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক এবং অধ্যক্ষদের সঙ্গে পৃথক মতবিনিময় করেন।

মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘সবাইকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এপ্রিল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের শিক্ষকদের নজরদারির আওতায় আনা হবে। শুরু কার্যক্রম। কলেজ পরিদর্শককেও নজরদারির আওতায় আনা হবে।’ যাতে কেউ কলেজে না গিয়ে প্রতিবেদন তৈরী করতে না পারে।

 

ঢাকা, ১৬ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ