চবি লাইভ: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০১৮-১৯ স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবিলম্ব করে (প্রক্সি) উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হতে আসা এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সে ভর্তি পরীক্ষায় ‘ডি’ ইউনিটে (রাল- ৫৩১১১৬) মেধাক্রম ১৪৪ তম হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। আটক শিক্ষার্থীর নাম মোহাব্বত আলী। সে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার গোরক ঘাটা ইউনিয়নের কতুবজুম গ্রামের আনছারুল করিমের ছেলে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়র প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তি হতে আসা মোহাব্বত নামের একজনকে আটক করে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।
সে লিখিতভাবে আমাদর জানিয়েছে তার ছবি পরিবর্তন করে দিদারুল ইসলাম নামের একজন ওই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। দিদারের পরিচয় সঠিকভাবে জানাতে না পারলেও সে বিশ্ববিদ্যালয়র শিক্ষার্থী এবং একই এলাকার বলে আমাদের জানান।
সে আরো জানায়, দিদার ও মো. ফারুক নামর দুইজনের সাথে ২ লাখ টাকার চুক্তি হয়। এর মধ্যে তাদেরকে ১ লাখ টাকা দিয়ছিলেন তিনি। ইতোমধ্যে আটক ভর্তিছু শিক্ষার্থীকে পুলিশ সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে।
জড়িতদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে প্রক্টর আলী আজগর বলেন, জড়িতদের মধ্যে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ একাডমিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, তাদের শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে থাকলে সার্টিফিকেট বাতিলের বিষয়টি ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্তদের মধ্যে মো. ফারুক বাংলা বিভাগর ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা যায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তবে, দিদারুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলেও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা, ১৫ নভম্বের (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: