Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

মোবাইলে প্রেম, কিশোরীকে ঢাকায় এনে ধর্ষণের পর হত্যা

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বার ২০১৮, ২২:০১

লাইভ প্রতিবেদক: পারভীন আক্তার নামের এক কিশোরীর সাথে মোবাইলে পরিচয় হয় জহিরুল নামে এক যুবকের সাথে। ফোনে কথা বলতে বলতে উভয়ের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে বিয়ের কথা বলে গত জুন মাসের প্রথম দিকে জহিরুল তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে।

ঢাকার একটি বাসায় ওই কিশোরীকে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে জহিরুল। পরে পারভীন বিয়ের জন্য চাপ দিলে জহিরুল নানা টালবাহানায় এড়িয়ে যেতে থাকে। একপর্যায়ে জহিরুলের আগের বিয়ে এবং তাদের সংসারে একটি সন্তানের বিষয়টি জানতে পারে পারভীন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ড শুরু হয়।

এদিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পারভীনকে কোথাও না পেয়ে পারভীনের বাবা ওয়াহেদ গত ৩০ জুলাই কলমাকান্দা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তির বদৌলতে নেত্রকোনার কলমাকান্দা থেকে কিশোরী পারভীন আক্তারের (১৬) নিখোঁজ হওয়ার কারণ জানিয়েছে পুলিশ। তাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ শেষে হত্যা করার কথা বেরিয়ে এসেছে পুলিশের তদন্তে।

কলমাকান্দা থানার ওসি মাজহারুল করিম জানান, এ ব্যাপারে নিহতের বাবা ওয়াহেদ বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামি জহিরুল শুক্রবার নেত্রকোনার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দিয়েছেন।

জানা গেছে, নিখোঁজ পারভীনের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে কলমাকান্দা থানা পুলিশ বুধবার রাতে জহিরুল ইসলাম ওরফে জহির শেখকে (৩৫) ঢাকার রামপুরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তিনি পারভীন নিখোঁজ হওয়ার বিবরণ দিয়েছে পুলিশের কাছে।

পুলিশের কাছে জহিরুল ইসলাম জানায়, কলমাকান্দা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের ওয়াহেদ আলীর মেয়ে পারভীন আক্তারের সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয় তাঁর। জহিরুল রোজার ঈদের তিনদিন পর আগের স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পারভীনকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দেন এবং তাকে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।

পরে তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে। হত্যার পর তাদের গ্রামের সামনে একটি নিচু জমিতে লাশ পুঁতে রাখেন। এর পরের দিনই জহিরুল আবার ঢাকায় চলে যান। এরপর পারভীনের ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ করে দেয় জহিরুল।

পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ পারভীনের বন্ধ ফোনটি চালু করলে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁর অবস্থান শনাক্ত করে। গত বুধবার রাতে ঢাকার রামরপুরা থেকে ফোনসহ জহিরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার কলমাকান্দা থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদে জহিরুল লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেয় ঘাতক জহিরুল।

তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের চারিগাঁও থেকে মাটি খুঁড়ে ওই কিশোরীর ব্যবহৃত পোশাক ও মাথার চুল উদ্ধার করে। কিন্তু দেহাবশেষ এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মাটি খুঁড়ে ওই কিশোরীর লাশটি শিয়াল-কুকুরে খেয়ে ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

 

ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ