শেরপুর লাইভ: ‘আমরা কম্পিউটার ল্যাবে ক্লাস করতে পারিনি। আমরা সত্যি জানি না এখন পর্যন্ত কেন ক্লাস করতে পারিনি বা কেন ক্লাস নেওয়া হয়নি। তবে আমরা আশাবাদী খুব শ্রীঘই আমাদের বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাবে ক্লাস করানো হবে।’ এভাবেই কথাগুলো এ প্রতিবেদককে বলছিলেন শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান শাম্মী।
সে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। শুধু শাম্মীর নয় এমন কথা সৌরভ, শাহরিয়ার, রাকিবুলসহ আরও অনেক শিক্ষার্থীর। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তাদের বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব চালু পর থেকে একদিনও ক্লাস নেওয়া হয়নি।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয়ে গেলে ল্যাবটি বন্ধ দেখা যায়। পরে এ প্রতিবেদক ল্যাবটি ঘুরে দেখতে চাইলে প্রধান শিক্ষক তা খুলে দেন। দেখা যায়, ল্যাবের কক্ষটি নোংরা হয়ে আছে। টেবিলের উপর কম্পিউটারের ৪টি মনিটর কাত হয়ে পড়ে আছে। প্রত্যেকটি টেবিল ও তার উপর রাখা মনিটরে মাকড়োসার জাল ও ডেস্কে ধুলোর আস্তর পড়ে গেছে। কক্ষের ভেতরের চেয়ারগুলোও এলোমেলো ভাবে আছে।
বিদ্যালয় সূত্র জানা গেছে, আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে আইসিটি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ বিদ্যালয়টি ২০১৬ সালে মডেল বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পরে ওই বছরেই মডেল ও বিসিসি প্রকল্পের আওতায় ২৬টি কম্পিউটার নিয়ে একটি ল্যাব চালু করা হয়। কিন্তু ক্লাস না হওয়ায় এর সুফল পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল হামিদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এখানে যথাযথ এক্সপার্ট নেই।’ ক্লাস হয়, কিন্তু পর্যাপ্ত নয়। ল্যাবটি পরিচালনার জন্যে একজন দক্ষ এক্সপার্টের দাবী জানান তিনি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ ক্লাস হয় না। এ বিষয়ে আমার জানা ছিল না। আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমেই জানতে পারলাম। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ঢাকা, ১৫ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: