লাইভ প্রতিবেদক: যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৬ উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের আত্মদানকারী শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকষ দল এসময় প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে উঠে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দ্বায়িত্ব পালনরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর পর শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নিজামউদ্দিন আহমদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের(এএফডি) প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে (এএফডি) যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি এএফডি পৌঁছলে এএফডি’র ডাইরেক্টরস জেনারেলগণ এবং পিএসও প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের এইদিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমস্বয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয়। এরপর এ বাহিনী দখলদার পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে এবং এতে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়কে ত্বরান্বিত করে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই ঐতিহাসিক দিনটিকে প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
ঢাকা, ২২, নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)// আইএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: