নীলফামারী লাইভ : ডোমারে মৌজা বামুনিয়া গ্রামে বিয়ের দাবিতে যুবলীগ নেতার বাড়িতে অবস্থান নেয়ায় কলেজ ছাত্রীকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।
প্রেমিক যুবলীগ নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই প্রেমিকাকে বৃহস্পতিবার রাতে আটক করে শুক্রবার আদালতে পাঠায়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেলে পাঠিয়েছে।
প্রেমিক যুবলীগ নেতা হলেন- উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য তিতাস রহমান বাবু। তিনি ওই এলাকার মশিয়ার রহমানের ছেলে।
অপরদিকে প্রেমিকা জোবায়দা আবেদীন জুঁই (২০) পাঙ্গা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে ও নীলফামারী সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী।
দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে পুলিশ ওই প্রেমিকা জুঁইকে আটক করে আদালতে পাঠানোয় এলাকায় মানুষের মাঝে ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী ক্ষোভের সঙ্গে জানায়, ক্ষমতাসীন দলের লোক হওয়ায় ভুক্তভোগী নারীকেও বিনা অপরাধে জেলে যেতে হলো, আর অভিযুক্ত দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যা হতে জুঁই তার প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন করেন। এরপর প্রেমিক ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা তিতাস তার সহযোগীদের সহায়তায় ডোমার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিকা জুঁইকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
জুঁই জানান, দেড় বছর আগে তিতাসের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে পরিচয় ও যোগাযোগ হয়। এরপর থেকে দু'জনের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে যা একপর্যায়ে দৈহিক সম্পর্কে রূপ নেয়।
জুঁইয়ের অভিযোগ, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রেমিক তিতাস তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করতো। এটি সে না চাইলেও নানা ভাবে প্রেমিক তাকে উত্যক্ত করতো। বিয়ের কথা বললেই সে টালবাহনা করতো।
কিন্তু এখন সে অন্য মেয়েকে বিয়ের জন্য উঠে পরে লেগেছে। লোকমুখে জানতে পারি বুধবার মেয়ে পক্ষ তাকে দেখতে আসবে। এরপর তাকে বার বার মোবাইলে কল করলেও সে রিসিভ না করায় আমি তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি।
জুঁই আরও জানায়, বিয়ের দাবিতে ইউপি সদস্য তিতাসের বাড়িতে আসার পর থেকেই সে গাঁ ঢাকা দেয়। যখন আমি তার বাড়িতে আসি তখন সে বাসায় ছিল। আমাকে দেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
ডোমার থানার ওসি আহম্মেদ রাজিউর রহমান জানান, অাত্মহত্যার হুমকি প্রদর্শনের অভিযোগে ওই ছাত্রীকে আটক করা হয়েছে।
ঢাকা, ১৯ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: