পটুয়াখালী লাইভ : পটুয়াখালী সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইমরান। ফেইসবুকে পরিচয় হয় ইন্দোনেশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকার। পরিচয়ের সূত্র ধরে বন্ধুত্ব। সেখান থেকে মন দেয়া নেয়ার সম্পর্ক।
ভালোবাসার টানে সেই শিক্ষিকা ইন্দোনেশিয়া থেকে ছুটে এসেছেন বাংলাদেশে। ইমরানের ভালোবাসা তাকে আপন করে নিয়েছে। ওই তরুণী শিক্ষিকার নাম নিকিউল ফিয়া। তিনি ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া বিভাগের জাওয়া গ্রামের ইউ লি আন থো’র মেয়ে। তিনি ইন্দোনেশিয়ার একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বাংলাদেশী প্রেমিক মো. ইমরান হোসেন বাউফলের দাসপাড়া ইউনিয়নের পুরান বাবুর্চি বাড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
ইমরান বলেন, প্রায় এক বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে নিকিউল ফিয়ার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। নিকিউল বাংলাদেশ, এ দেশের সংস্কৃতি এবং আমার পরিবার সম্পর্কে আমার কাছ থেকে সব সময় জানতে চাইত। আমিও তার সব কথার উত্তর দিতাম।
তিনি বলেন, এভাবে একসময়ে আমাদের বন্ধুত্ব ভালোবাসাতে গড়ায়। আমাদের এ সম্পর্কের স্থায়ী রূপ দিতে ১ ডিসেম্বর সে ইন্দোনেশিয়া থেকে ঢাকা আসে। আমি তাকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে রিসিভ করে আমার বাড়ি বাউফলে নিয়ে আসি।
নিকিউল ফিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ইমরানকে গভীরভাবে ভালোবাসেন। ইমরানকে তিনি বিয়ে করতে চান। বিষয়টি তিনি তার মা-বাবাকে জানিয়েই বাংলাদেশে এসেছেন।
নিকিউল ফিয়ার সঙ্গে বিয়েতে কোন আপত্তি নেই ইমরানের বাবা মায়েরও। এখন শুধু বিয়ের অপেক্ষা।
ঢাকা, ০৫ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: