এমসি লাইভ: সিলেট এমসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রাবাস সাড়ে চার বছর বন্ধ থাকার পর চালুর সাত মাসের মাথায় আবারও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্রলীগ।
২০১২ সালে ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের 'শিবির খেদাও' আন্দোলনে ছাত্রাবাসে আগুন দেয় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। প্রায় ৫কোটি টাকা ব্যয়ে পুন:নির্মান ও সংস্কার করার পর চালু হওয়া ছাত্রাবাসে এবার এক শিবির কর্মীর অনুপ্রবেশের অভিযোগের জেরে পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে গতকাল বুধবার টিলাগড়ে রঞ্জিত-টিটু গ্রুপের সাথে সঞ্জয়-হোসাইন গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ছাত্রলীগের বিবদমান দু'গ্রুপের মধ্যে গতকালের সংঘর্ষের পর গতকাল রাতেই ছাত্রাবাসে মহড়া দেয় টিটু চৌধুরী গ্রুপ কর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রাবাসের ৫টি ব্লকের সবকটিতেই ভাঙচুর চালায় টিটু গ্রুপ কর্মীরা। হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত শহীদ শ্রীকান্ত, ৪নং ও ৫নং ব্লকগুলোতে ব্যাপক ভাঙচুর হলেও তুলনামূলক কম ভাঙচুর হয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় ব্লকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্লকগুলোর দরজা ও জানালা ভাঙচুরের পাশাপাশি বেশকিছুরুমেও গণহারে ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। জানা গেছে, ভাঙচুর কারীদের মধ্যে ২০১২ সালে ছাত্রাবাসে অাগুন লাগানো সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি ছাত্রদলের মিছিলে অস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনার মামলার আসামী সৌরভ আচার্য্য, রবিউল সহ ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ ছাত্রাবাসে ভাঙচুর চালিয়েছে।
ভাঙচৃর চালানোর সময় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে রুমে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ছাত্রবাস পরিদর্শনে আসেন কলেজ প্রিন্সিপাল প্রফেসর নিতাই চন্দ্র চন্দ।
শাহপরাণ থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে থাকলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনের জন্য কলেজ ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসে পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন শাহপরাণ থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার হোসেন।
ঢাকা, ১৩ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: