Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রের বিয়ে!

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৩, ০৩:১০

প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জ লাইভ: ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করেছেন ৯ম শ্রেণির এক ছাত্র। আর তাদের বিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাই। এ ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলায়। আর অভিযুক্ত ওই ইউপি চেয়ারম্যানের নাম আব্দুল মজিদ। তিনি মেছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।

জানা গেছে, সম্প্রতি সদর উপজেলার মেছড়া ইউনিয়নের খাসবালিয়া মেন্দা গ্রামে ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে ৯ম শ্রেণির ছাত্রের বিয়ে হয়েছে। পাত্রী স্থানীয় রুপসা হাইস্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী খাসবালিয়ামেন্দা গ্রামের রফিকুল মিস্ত্রির কন্যা রোজিনা খাতুন ও পাত্র একই স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্র একই গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে তুহিন তুষার।

মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে মেছড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বাল্যবিবাহের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডে বাল্যবিয়ে দেওয়া হচ্ছে শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে না দেওয়ার জন্য নিষেধ করি। আমার কথা না শুনে চেয়ারম্যান ও তার ভাই সোহরাওয়ার্দী জোরপূর্বক কাজী ডেকে এনে বিয়ে দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, বেশকিছু দিন ধরে তুষার ও রোজিনার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সেই সুবাদে গত ২৭ এপ্রিল প্রেমিক তুষার রোজিনাকে তার নানার বাড়ি থেকে ওঠিয়ে নিয়ে আসে। পরে বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ও তার বড় ভাই সোহরাওয়ার্দীসহ এলাকার মাতব্বরা মিলে গভীর রাতে গোপনে কাজীর মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে। পরদিন সকালে বাল্যবিয়ের বিষয়টি নিয়ে এলাকার আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়।

এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য সোহরাওয়ার্দী জানান, ঘটনার সময় আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তুষারের পরিবার। ছেলের পরিবারের মাধ্যমে কাজী আব্দুর রহমানকে ডেকে এনে কাবিন ও মাওলানা আলামিনকে দিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক আবুল হোসেন, মিঠু, পলাশসহ ছেলে ও মেয়ের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, মেয়ের পরিবার বাল্যবিয়ে দিতে অস্বীকার করায় জোরপূর্বক সোহরাওয়ার্দীসহ স্থানীয় মাতব্বরা বিয়ে দিয়েছেন।

সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, বিষয়টি আমর জানা নেই। খোঁজ-খবর নিতে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হবে। এসময় তিনি ঘটনাটি ইউএনও স্যারকে অবগত করার জন্য বলেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাশুকেতা রাব্বি জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঢাকা, ১৬ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমবি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ