লাইভ প্রতিবেদক: দেশের সব বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের সাহায্যে পাঠদান চালু হতে যাচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা নির্ভরতা কমিয়ে শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়নের ওপর জোর দেয়া হবে বেশি।
শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না দিলে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন কঠিন হবে। এ অবস্থায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, জানুয়ারি মাসের প্রথম তিন সপ্তাহ শুক্রবার ও শনিবার শিক্ষকদের সরাসরি প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
আগামী বছর থেকে প্রথম, ৬ষ্ঠ এবং ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে ক্লাস করবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম জানিয়েছেন, নতুন শিক্ষাক্রম শুরুর সব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ৬ষ্ঠ এবং ৭ম শ্রেণির বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছেছে ৫১ ভাগ এবং ১ম শ্রেণির বই পৌঁছেছে ৪৯ ভাগ। ডিসেম্বরের মধ্যেই সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে। সেই সঙ্গে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে এরই মধ্যে অনলাইনে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মজিবুর রহমান জানান, অনলাইন নয় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে সশরীরে। শিক্ষকদের স্বচ্ছ ধারণা না থাকার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না দিলে এটি বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে যাবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপর সর্বোচ্চ জোর দেয়া হচ্ছে। শুধু ডিসেম্বরেই নয় ক্লাস শুরু হওয়ার পর প্রথম তিন সপ্তাহ শুক্রবার ও শনিবার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: