Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০
teletalk.com.bd
thecitybank.com
তথ্য সংগ্রহে কঠোরতা

রাজধানীতে ভর্তিচ্ছুদের স্কুলে স্কুলে ভিড়

প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বার ২০২২, ০১:০৫

রাজধানীতে ভর্তিচ্ছুদের স্কুলে স্কুলে ভিড়

লাইভ প্রতিবেদক: নতুনদের আগমন। তাদের পদচারণায় মুখর স্কুল আঙ্গিনা। যেন নতুন আমেজ। নতুন স্বপ্ন কচি মনে নানান দোলা দেয়। আলোকিত করে আর আপ্লুত করে ছোট্রমনিদের। সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। লটারিতে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীরা এখন ভিড় করছে সংশ্নিষ্ট বিদ্যালয়ে। রাজধানীর বেশ কিছু বিদ্যালয়ে সরেজমিন দেখা গেছে, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের ভিড়ে সরগরম প্রতিটি ক্যাম্পাস।

নতুন ক্লাসে ভর্তি হচ্ছে পুরোনো শিক্ষার্থীরাও। যারা লটারিতে পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, আনন্দে ভাসছে সেসব শিক্ষার্থী। গত রোববার থেকে স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া শুরু হয়। আগামীকাল বুধবার ভর্তির শেষ দিন। এর আগে গত ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীতে কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর ভর্তি লটারি।

প্রতিষ্ঠানগুলোতে শূন্য আসনের বিপরীতে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে ২২ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখায় গতকাল সোমবার সকাল ৮টায় গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রচণ্ড ভিড়। ভেতরে ঢুকতেই শাখাপ্রধান কলিম মোর্শেদ জানালেন, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম চলছে।

লটারির মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে এসেছে। সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও ভর্তি কমিটির সদস্যরা জানান, প্রথম দু'দিনেই বিভিন্ন সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬০ থেকে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। ভর্তির জন্য একাধিক আবেদন করা কোনো শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হচ্ছে না।

অবশ্য ভর্তিকালে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় কিছু শিক্ষার্থীকে ফিরে যেতে হয়েছে। এ বিষয়ে রাজধানীর শেরেবাংলানগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুর রহমান সমকালকে বলেন, ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের জন্মসনদের মূলকপি, অনলাইন কপি এবং অনলাইনে আবেদনের কপিসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র যাচাই করে ভর্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে।

নিউমার্কেট এলাকার গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ ভূঁইয়া বলেন, প্রথম দুই দিনেই গত রোববার ও গতকাল ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়েছে। এ সময় তিনজন শিক্ষার্থী তাদের জন্মসনদের মূলকপি দেখাতে পারেনি। ভর্তি হতে তাদের জন্মসনদের মূলকপিসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজ নিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। ধানমন্ডি গভ. বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ভর্তির জন্য রোববার ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।

তথ্য যাচাইয়ে গুরুত্বারোপ করে তাদের একটি ফরম দেওয়া হয়েছে। সেখানে তাদের সব তথ্য লিখিত আকারে দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে বলা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, ভুল তথ্য দিয়ে যারা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে তাদের ভর্তি বাতিলের বিষয়ে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে।

কাগজপত্র যাচাই করে সঠিক তথ্য পেলে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। একাধিক আবেদন করায় ভর্তির সুযোগ বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, অনৈতিক পন্থা অবলম্বনকারী শিক্ষার্থীদের জন্য এটা এক ধরনের শাস্তি। আমাদের ভর্তির সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা ভর্তি হতে পারবে না। তবে ভর্তির সময়সীমা শেষে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্যপদ থাকলে সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা ভর্তি হতে পারবে। গতবারের মতোই এ বছরও প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে ডিজিটাল লটারির আয়োজন করা হয়।

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদন জমা পড়েছে আসন সংখ্যার ৬ গুণ বেশি। ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিত করতে অনেকেই শিক্ষার্থীর নাম, জন্মসদন ও পিতা-মাতার নামসহ বিভিন্ন ভুল তথ্যের মাধ্যমে একাধিক আবেদন করেন। ফলে একই প্রতিষ্ঠানের ভর্তি তালিকায় এক শিক্ষার্থীর একাধিক নাম এসেছে। কোথাও কোথাও এক শিক্ষার্থীর নাম তালিকায় ১৪ বার রয়েছে, এক শিক্ষার্থীর নাম ৯ বারও এসেছে। মাউশি অনৈতিকভাবে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের নির্দেশনা দিয়েছে।

ঢাকা, ২০ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিনয়


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ