Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

মাধ্যমিকে সাজানো নিয়োগ পরীক্ষা, ১০ লাখ টাকায় মিলছে চাকরি

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বার ২০২২, ০৪:৫১

কলাবাড়ি-রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়

চুয়াডাঙ্গা লাইভ: মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মচারীদের শূন্যপদে অর্থের বিনিময়ে চারজনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৮ জুন তারিখের মহাপরিচালকের (ডিজি) প্রতিনিধি নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছিলেন। অথচ সেই চার প্রার্থীর মধ্য থেকেই নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদে দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কলাবাড়ি-রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এঘটনা ঘটে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার স্থগিত সাজানো নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে ওই প্রার্থীদের উত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বজলু, পরিচালনা পরিষদের (এসএমসি) সভাপতি সোহরাব হোসেন এবং সদস্য রাশেদীন আমীন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর রহমান ও মহাপরিচালকের (ডিজি) প্রতিনিধি ভিক্টোরিয়া জুবিলী (ভি,জে) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলাল হোসেনের যোগসাজশে কথিত এই নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করেন।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এ দুটি পদে সব আবেদনকারীকে ডাকা হয়নি। ডামি প্রার্থীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। যে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও মিলেছে। এই নিয়োগ পরীক্ষাকে অবৈধ দাবি করে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের আবেদন করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আবেদনকারীদের মধ্যে একজন রকিবুল হাসান। তিনি বলেন, তার অভিযোগ, সকল নিয়ম মেনে আবেদন করলেও নিয়োগ পরীক্ষার দিন তাকে ডাকা হয়নি।

সম্প্রতি ১৩ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে রকিবুল দাবি করেছেন, ৯ লাখ টাকার বিনিময়ে গোপালপুর গ্রামের ফরজ আলীর ছেলে রিপন আলীকে নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলী (ভি জে) উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলায় সাজানো নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

চাকরিপ্রার্থী রকিবুল বলেন, ‘বিদ্যালয়ের কর্মচারীদের চারটি শূন্যপদে চারজনের কাছ থেকে ৪১ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে চাকরি দেয়ার প্রক্রিয়ার অভিযোগে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। খবর প্রকাশের পর ডিজির প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিল আরা চৌধুরী পরীক্ষা গ্রহণের একদিন আগে ২৭ জুন তা স্থগিত ঘোষণা করেন। সে সময়ে যে চারজনের কাছ থেকে চাকরির নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ শোনা গিয়েছিল, রিপন আলী তাদের একজন।’

এই বিদ্যালয়ের এসএমসির সাবেক একজন সভাপতি অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবারের কথিত নিয়োগ পরীক্ষায় আয়া পদে ছাগবার আলীর মেয়ে জুলেখা খাতুনকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান ও সভাপতি সোহরাব হোসেন অর্থ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাদের দাবি, যথাযথ নিয়ম মেনেই নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ১০ নভেম্বরের এই নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান তা অবগত নন বলে জানিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেহেতু নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে একটি দরখাস্ত জমা পড়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঢাকা, ১৫ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ