Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

স্কুলের সামনে শিক্ষককে পেটাল সাবেক ছাত্র

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বার ২০২২, ০৯:৩৮

আহত শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন

মানিকগঞ্জ লাইভ: ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়েরই দুজন সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। মারধরে কারণে গুরুতর আহত ওই শিক্ষককে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষককে পিটিয়ে জখম করার এ তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান। এদিকে এ ঘটনায় বিচার চেয়ে বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আহত অবস্থায় ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে সাটুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর মুখে চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আমাদের স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র আলামিন ও রমজান আলী সজল এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

আহত ওই শিক্ষকের নাম- মো. তোফাজ্জল হোসেন। তিনি ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক। অভিযুক্তদের নাম- হরগজ বালুচরের মো. রফিকের ছেলে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র আলামিন (২১) ও একই এলাকার ছেলে রমজান আলী সজল (২১)।

আহত শিক্ষক বলেন, ‘স্কুলের অদূরে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াচ্ছিলাম। এ সময় আমার মোবাইল ফোনে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। ফোনে আমাকে স্কুলে ঢোকার আগে গেটের সামনে দেখা করতে বলে বখাটে আলামিন ও রমজান আলী। প্রাইভেট পড়ানো শেষ করে পৌনে ১০টার সময় গেটের সামনে এলে তারা আমাকে ধরে এলোপাথারি মারতে শুরু করে। পরে আমাকে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা স্কুলে খবর দিলে অন্য শিক্ষকেরা আমাকে উদ্ধার করে সাটুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।’

হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন, ‘রমজান আলী ও আলামিন প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় রাস্তায় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করত। তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রীরা মাঝেমধ্যে বিচার দিত। এরা নেশাগ্রস্ত ও মাদকাসক্ত। আমি শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় ওই দুই বখাটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

এ ঘটনায় হরগজ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন জ্যোতি বলেন, ‘শিক্ষককে পেটানোর ঘটনা দুঃখজনক। আমি বখাটে যুবকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

এ ব্যাপারে হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ খ ম নুরুল হক বলেন, ‘শিক্ষককে পেটানোর ঘটনাটি ন্যক্কারজনক। উপজেলার প্রতিটি স্কুল চলাকালীন ও ছুটির সময় পুলিশ প্রশাসনের তদারকি বাড়ালে উত্ত্যক্তের ঘটনা কমে আসবে বলে আমি মনে করি। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’

সাটুরিয়া থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করি খুব দ্রুতই তাদেরকে ধরতে সক্ষম হবো।

ঢাকা, ০৯ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ