Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০
teletalk.com.bd
thecitybank.com

প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব: সেই প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবার ২০২২, ০৩:৩৭

শিক্ষক সুহেল মিয়া অবরুদ্ধ

নেত্রকোনা লাইভ: পরীক্ষার দুই দিন আগে প্রশ্ন দিয়ে ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রধান শিক্ষক সুহেল মিয়ার বিরুদ্ধে। নেত্রকোনার মদনে ঘটে এই ঘটনার ৫ দিন পর বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে গেলে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

পরে খবর পেয়ে মদন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবসে প্রধান শিক্ষক সুহেল মিয়া বিদ্যালয়ে গেলে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা একটি কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এদিকে তদন্ত কমিটি গঠনের দুই দিন অতিবাহিত হলেও বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সুহেল মিয়া জানান, বিদ্যালয়ের যাওয়া পর অনেক লোকজন তার ওপর হামলা করতে গেলে তিনি তার কক্ষের দরজা বন্ধ করে রাখেন। পরে স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসনের সহযোগিতায় রক্ষা পান।

প্রসঙ্গত, নেত্রকোনার মদন উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের চৌধুরী তালে হোসেন মিছিলজান একাডেমির প্রধান শিক্ষক সুহেল মিয়া। তিনি এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষার দুই দিন আগে গত ২১ অক্টোবর এক ছাত্রীর ইমো নম্বরে প্রশ্ন পাঠায়। এসময় প্রশ্নের বিনিময়ে ওই ছাত্রীকে তিনি কু-প্রস্তাব দেন। বিষয়টি পরীক্ষার দিন ২৩ অক্টোবর সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানতে পেরে প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। পরে প্রধান শিক্ষকের পাঠানো প্রশ্নটি বাতিল করে অন্য প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়।

পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বড় ভাই রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন ইউএনও তানজিনা শাহরীন।

তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, প্রধান শিক্ষকের ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য তাকে কোন রকম চিঠি দেয়া হয়নি। চিঠি পেলে তদন্তের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

এ বিষয়ে মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজীনা শাহরিন জানান, অবরুদ্ধ করে রাখার সংবাদের প্রেক্ষিতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার দুই দিন আগে প্রশ্ন দিয়ে ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে গত মঙ্গলবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

ঢাকা, ২৭ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ