Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ভুল চিকিৎসায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু, তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবার ২০২২, ০৫:১৭

ফাইল ছবি

লাইভ প্রতিবেদক: ভুল চিকিৎসায় খাদ্যনালি ছিদ্র হয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনায় চিকিৎসকের অবহেলা নিরুপণ করতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম তরিকুল ইসলাম তোহা ওরফে প্রিন্স (১৭)। সে রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছিল।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) ওই শিক্ষার্থীর বাবার করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রধানের মনোনীত তিন চিকিৎসক (সহযোগী অধ্যাপকের নিচে নয়) এ তদন্ত করবেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি এ তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে হবে।

রুলে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলা নিরুপণ করে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি, ঢাকা জেলা প্রশাসক, খিদমাহ হসপিটাল (প্রা.) লিমিটেড অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ডা. জাহাঙ্গীর কবিরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে শিক্ষার্থীর বাবা আবুল কাশেম এ রিট দায়ের করেন। আবেদনের আইনজীবী ছিলেন মুনতাসীর মাহমুদ রহমান। শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও ব্যারিস্টার বিভূতি তরফদার।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি স্কুল শিক্ষার্থীর ভুল চিকিৎসার বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ভুল চিকিৎসায় খাদ্যনালি ছিদ্র হয়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র তরিকুল ইসলাম তোহা ওরফে প্রিন্স (১৭) ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর মারা যায়। প্রিন্স মুগদায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো।

পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বর খিলগাঁওয়ের খিদমা হাসপাতালে প্রিন্সের পিত্তথলির অপসারণ করা হয়। রাত ১২টার দিকে অপারেশন করেন ক্যানসার হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর কবির। তবে অপারেশনের পর জটিলতা দেখা দেয়। এ অবস্থায় পরদিন তাকে জোর করে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। বাসায় ফিরে প্রিন্সের অবস্থার আরও অবনতি হলে ২১ ডিসেম্বর খিদমাহ হাসপাতালে তাকে আবারও নেওয়া হয়। স্বজনদের অভিযোগ, প্রিন্স মুমূর্ষু অবস্থায় চলে গেলেও ডা. জাহাঙ্গীর কবির পাত্তা দেননি।

প্রিন্সের মা পারভীন আক্তার অভিযোগ করে জানান, জাহাঙ্গীর কবির অবস্থা জেনে রক্তের টেস্ট ও আলট্রাসনোগ্রাম করাতে বলেন। কিন্তু হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর রাতে টেস্ট করাতে দেননি। প্রিন্সের অবস্থা আরও অবনতি হলে মধ্যরাতে খিদমা হাসপাতাল থেকে বলা হয়, প্রিন্সের আইসিইউ লাগবে। স্থানান্তর করতে হবে অন্য কোনও হাসপাতালে। দিশেহারা হয়ে স্বজনরা তাকে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেন।

তিনি আরও জানান, সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, তার অবস্থা খুবই খারাপ। বেশ কিছু পরীক্ষার পর দেখা যায়, তার খাদ্যনালিতে বড় ধরনের ছিদ্র হয়ে ভেতরে পানি জমেছে। পানির সঙ্গে খাবারও গেছে। এরপর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে দুই দফা অপারেশন করা হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রিন্স মারা যায়। পরে তরিকুল ইসলাম তোহার মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

ঢাকা, ২৪ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ