Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

পরীক্ষার আগে প্রশ্ন পাঠিয়ে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবার ২০২২, ২৩:০৬

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এবং অভিযুক্ত শিক্ষক সুহেল মিয়া

নেত্রকোনা লাইভ: পরীক্ষার দুই দিন আগে প্রশ্নপত্র দিয়ে এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার মদন উপজেলায়। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম সুহেল মিয়া। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।

অভিযুক্ত সুহেল মিয়া উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের চৌধুরী তালে হোসেন মিছিলজান একাডেমীর প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। স্থানীয়রা জানান, নেত্রকোনার মদন উপজেলার চৌধুরী তালে হোসেন মিছিলজান একাডেমিতে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নির্বাচনি পরীক্ষা চলমান রয়েছে। রোববার দুপুর ২টায় বিদ্যালয়ে গণিত সৃজনশীল পরীক্ষা হওয়ার কথা। সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র শুক্রবার রাতে এক ছাত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুহেল মিয়া।

পরে ওই ছাত্রীকে নিজের ইমো নম্বর দিয়ে প্রেম নিবেদনসহ আপত্তিকর প্রস্তাব দেন প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের এমন আচরণে ওই ছাত্রী তার পরিবারের লোকজনকে জানালে বিষয়টি সবার নজরে আসে। এ ঘটনায় বোরবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।

ঘটনাটি এলাকার লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই প্রশ্নপত্রটি রোববার সংগ্রহ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) পোস্ট করেন। এতে বিষয়টি ভাইরাল হলে অনেকেই প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানান।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর বড় ভাই জানান, শুক্রবার রাতে সুহেল স্যার আমার বোনকে কল দিয়ে কথা বলার পর ইমু নম্বরে গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন পাঠান। বিনিময়ে আমার বোনের সঙ্গে অনৈতিক মেলামেশার প্রস্তাব দেন। রোববার বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে সময় না দিলে পরীক্ষার খাতায় নম্বর দেবেন না বলে হুমকি দেন। ভয় পেয়ে বোন বিষয়টি খুলে বলে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সুহেল মিয়া বলেন, কে বা কারা আমার ইমু নম্বর থেকে প্রশ্নপত্রটা ছাত্রীর কাছে পাঠিয়েছে, জানি না। প্রেম নিবেদন ও কুপ্রস্তাবের বিষয়ে তিনি জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলছি।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জিএম শামসুল আলম চৌধুরী কায়কোবাদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে নিউজ করার দরকার নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিনা শাহরীন জানান, ভুক্তভোগী ছাত্রী বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা, ২৪ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ