মাদারীপুর লাইভ: চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। বলছিলাম শিবচরের উৎরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কথা। তার এসব অন্যায় ও অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল দশটার দিকে শিবচরের উৎরাইল নয়াবাজারে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। মানববন্ধনে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি বিদ্যালয়ে চারটি পদে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেবার অভিযোগ উঠে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
তারা আরও জানান, শুধু তাই নয় টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, অফিস সহায়ক এবং কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে দূর-দূরান্তের চারজন ব্যক্তিকে কৌশলে পরীক্ষায় প্রথমস্থানে কৃতকার্যের মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা করেছেন। প্রশ্নবিদ্ধ এই নিয়োগ বাতিল করে পরিচ্ছন্ন নিয়োগ ও প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানান বক্তারা। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, অযাচিত ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন, অভিভাবকদের সাথে উগ্র আচরণসহ নানা অনিয়ম রয়েছে বলেও জানান তারা।
এসময় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. জালাল ফকির বলেন, সম্প্রতি এই নিয়োগের সময় প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা স্পষ্ট হয়েছে। তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কখনোই ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে বসেনি। শুধু সভাপতিকে নিয়েই কাজ করেছেন এবং মিটিং, রেজুলেশন ছাড়াই নিয়োগপত্র দিয়েছেন।
আরেক অভিভাবক সদস্য আলী আজগর মিয়া জানান, প্রধান শিক্ষক স্থানীয় এক প্রার্থীর নিকট ৩ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। কিন্তু দরিদ্রতার কারণে ওই প্রার্থী টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। পরে এই ঘটনা এলাকার সবাই জেনে যায়। সম্প্রতি যে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এখানেও তিনি ৪ টি পদে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আমরা এই নিয়োগ বাতিলের দাবি জানাই।
ঢাকা, ০৮ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: