কুড়িগ্রাম লাইভ: চলমান এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে কেন্দ্র সচিব ও দুই সহকারী শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আটককৃতারা হলেন- ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচীব লুৎফর রহমান, একই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল আহমেদ এবং ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক জোবায়ের ইসলাম।
জানা গেছে, সোমবার ইংরেজি প্রথম পত্র ও মঙ্গলবার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ে কেন্দ্র থাকার সুবাদে কেন্দ্র সচীব এবং ওই দুই শিক্ষক প্রশ্ন পত্র সর্টিং-এর দায়িত্বে ছিলেন। তারা ওই প্রশ্ন পত্র গোপনে নিয়ে যান এবং নিজেদের শীক্ষার্থীদের পরীক্ষার আগের দিন হাতে লিখে সরবরাহ করেন। এদিকে হাতের লেখা সেই প্রশ্ন পত্র পরে হোয়াটসঅ্যাপে ৫০০ থেকে ২০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে কুড়িগ্রামের অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এদিকে প্রশ্ন ফাঁসের সত্যতা পেয়ে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ভূরুঙ্গামারীতে আসেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়াম্যান অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম। ওই দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষে গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করেন তারা। পরে আটকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ দেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সদস্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালীক চৌধুরী।
এদিকে প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক হওয়া শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ। সহকারী পুলিশ সুপার মোরশেদুল হাসান বলেন, আটক তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলা হলে তদন্ত করে বিষয়টি উদঘাটন করা হবে।
ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: