রংপুর লাইভ: শিক্ষক নিয়োগে গোপনে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শুকুরেরহাট কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে এমন কর্মকান্ড করেন তারা। বিষয়টি জানাজানি হলে বুধবার পরীক্ষা বাতিল করেন নিয়োগ বোর্ডের প্রধান সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের অধ্যক্ষ চিন্ময় বাড়ৈ।
২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক আদেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থানীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া বাতিল করে। এই নিয়োগ পরীক্ষার ভার দেওয়া হয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ)। কিন্তু সাত বছর পর নির্দেশনা অমান্য করে শুকুরেরহাট কলেজ কর্তৃপক্ষ ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি এবং দর্শন বিভাগের ১১টি প্রভাষক পদে নিয়োগের আয়োজন করে। এ জন্য তারা স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজে গোপনে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতে নিয়োগ বোর্ডের ডিজির (মাউশির মহাপরিচালক) প্রতিনিধি হিসেবে সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের অধ্যক্ষ চিন্ময় বাড়ৈ এই পরীক্ষার আয়োজন করেন। আগের দিন ও তারিখ দেখিয়ে শুকুরেরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোলজার হোসেন ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সেলিম মণ্ডলের সঙ্গে তিনি পরীক্ষার আয়োজন করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের কয়েক শিক্ষক অভিযোগ করেন, পাঁচ প্রার্থীর নিয়োগ চূড়ান্ত করার জন্য অধ্যক্ষ চিন্ময় বাড়ৈ শুকুরেরহাট কলেজ অধ্যক্ষের মাধ্যমে অন্তত ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে চিন্ময় বাড়ৈ বলেন, বৈধভাবেই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পরীক্ষার দিন বিতর্ক দেখা দেওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে।
মাউশি রংপুর অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল মতিন লস্কর বলেন, ২০১৫ সালের পর থেকে বেসরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারবে না। কিন্তু কী উদ্দেশ্যে সেখানে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছিল, তা খতিয়ে দেখা হবে।
ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেডআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: