Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

শিক্ষক বিহীন শিক্ষার্থীদের জীবন অন্ধকারাচ্ছন্ন

প্রকাশিত: ৯ আগষ্ট ২০২২, ০৪:৫০

শিক্ষক বিহীন চলছে শংকর মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-১

রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম) লাইভ: কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার শংকর মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-১। যা ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের কারণে পশ্চিম পার্শ্ববর্তী এলাকায় স্থানান্তরিত হয়। সেখানে শংকর মাধবপুরের ৮০ শতাংশ লোক জনবসতি গড়ে উঠেছে এবং তারাবর, ভেলামারীসহ আরও অনেক মৌজারও লোকজন বসবাস করছে।

বিদ্যালয়টি স্থানান্তর হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম একা একা যথারীতি ০৬ টি শ্রেণীতে পাঠদান দিয়েছেন বলে জানান। পরবর্তী সময়ে প্রধান ও সহকারী শিক্ষকেরা পাঠদান দিতে না গেলে অসহায় হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। ফলে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠে আসে।

এদিকে অসহায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে বর্তমানে ৭ জন সেচ্ছাসেবক দ্বারা পাঠদান দিয়ে আসছে এলাবাসী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত ও চর অঞ্চলীয় শিক্ষার্থীদের অবজ্ঞা করে উপজেলা শিক্ষা কমিটি সিদ্ধান্ত দিয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্ব প্রান্তে বিদ্যালয় স্থাপন করার। সহকারি শিক্ষকদের বড় সমস্যা পশ্চিম পাড়ে পাঠদান করলে সকালের প্রাইভেট ও বিকালের কোচিং সেন্টারের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। ফলে তারা উঠে পড়ে লেগেছে নদের পূর্ব প্রান্তে বিদ্যালয়টি স্থাপন করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা শিক্ষা কমিটি যে স্থানে বিদ্যালয়টি স্থাপন করার জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তার ৩ কিঃ মিঃ মধ্যে যেখানে ৭ থেকে ৮ টি বিদ্যালয় অবস্থিত আছে। সেই সাথে আশপাশে ২ কিঃ মিঃ মধ্যে ৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। যেমন- ১. মদনের চর, ২. ভেলামারী, ৩. শংকর মাধবপুর–২, ৪. সাজাই নতুন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। সহকারি শিক্ষকদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধার্থে বিদ্যালয়টি নদের পূর্ব প্রান্তে আনার পরিকল্পনা অব্যাহত রেখেছে।

এ বিষয় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, আমি উপজেলা শিক্ষা কমিটির সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু বলতে পারছিনা। তবে মানুষ ভুল করতে পারে আবার শুধরাতেও পারে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানেন এবং তারাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন। বিদ্যালয়ের ঘর যেখানে আছে সেখানে একটি বিদ্যালয় দরকার।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, আমি আগামীকাল আসছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান জানান, আমি যা সিদ্ধান্ত দেওয়ার তা পুর্বেই দিয়ে দিয়েছি। নতুন করে আর কিছু বলতে পারবো না।

এদেকে অসহায় ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষার আলো থেকে যেন বঞ্চিত না হয় ও বিদ্যালয়টি ব্রম্মপুত্র নদের পশ্চিম পার্শ্বে রেখে চলমান সমস্যা সংকট নিরসনে পুনরায় বিষয় টি বিবেচনা করার দাবি জানান। সেই সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

ঢাকা, ০৮ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এসএম//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ