
লাইভ প্রতিবেদক: সিলেট ও জামালপুরের বন্যার কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৪ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তলিয়ে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেইসঙ্গে বন্যার পানির কারণে সেখানকার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এসব এলাকায় পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে সিলেট জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গকুল চন্দ্র দেবনাথ গণমাধ্যমকে জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ২৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে। এসব বিদ্যালয়ের পাঠদান সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃষ্টিতে পানি আরও বেড়েছে। অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. ওয়াদুদ জানান, এ পর্যন্ত জেলার ৮০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা পানিতে তলিয়ে গেছে। এগুলোতে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে সিলেট জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গকুল চন্দ্র দেবনাথ গণমাধ্যমকে জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ২৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে। এসব বিদ্যালয়ের পাঠদান সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃষ্টিতে পানি আরও বেড়েছে। অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. ওয়াদুদ জানান, এ পর্যন্ত জেলার ৮০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা পানিতে তলিয়ে গেছে। এগুলোতে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে প্রতিদিনই যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ শাখা নদীর পানি বেড়ে নদী তীরবর্তী এলাকা ছাড়াও বিস্তৃর্ণ জনপদে পানি ছড়িয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে জামালপুর সদর, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার অন্তত ৪০টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভার প্রায় ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এ পরিস্থিতির মধ্যে আগামী রোববার থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। বন্যার কারণে পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তবে এখন পর্যন্ত পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সিলেট শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের অধীন থাকা চার জেলায় এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৭৩ জন। এর মধ্যে বন্যাকবলিত জেলা সিলেটে ৪৩ হাজার ৮৪৪ জন ও সুনামগঞ্জে ২৩ হাজার ৭৫২ জন পরীক্ষার্থী আছে।
৪ জেলায় ১৪৯টি পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সিলেটে ৫৯টি ও সুনামগঞ্জে ৩৩টি পরীক্ষাকেন্দ্র আছে। সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল গণমাধ্যমকে বলেন, বন্যার পানিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৯টি উপজেলার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। এসএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ই সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে যমুনার পানি বেড়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে প্রতিদিনই যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ শাখা নদীর পানি বেড়ে নদী তীরবর্তী এলাকা ছাড়াও বিস্তৃর্ণ জনপদে পানি ছড়িয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে জামালপুর সদর, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার অন্তত ৪০টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভার প্রায় ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বসতবাড়ি, ফসলি জমি, নলকুপ বন্যার পানিতে তলিয়ে দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। প্রথম দফার বন্যায় পাওয়া ত্রাণ সহায়তা ফুরিয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। বন্যা দুর্গতরা সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন উচু বাঁধ, সেতু এবং সড়কে আশ্রয় নিয়েছে। দুর্গত এলাকার বেশিরভাগ জায়গায় স্থানীয় ও আঞ্চলিক সড়কে বন্যার পানি উঠে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
ঢাকা, ১৮ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//ওপিটি
বন্যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক কলেজ মাদ্রাসা সিলেট জামালপুর সদর শিক্ষাঙ্গন বন্ধ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ৩ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামালপুর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: